তালেবান ঘোষণা করেছে, আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে এবং শিগগিরই সরকার গঠন করা হবে। গতকাল রোববার তালেবান বাহিনী কাবুলে প্রবেশ করে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। আজ সোমবার ভোরে কাবুলে কিছু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও সেগুলোর উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কাজ অব্যাহত রেখেছে। তাছাড়া শত শত আফগান দেশ ছাড়তে মরিয়া চেষ্টায় কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করছে।
তালেবান রাজনৈতিক অফিসের এক মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম আল জাজিরাকে বলেন, তারা নিঃসঙ্গভাবে বাস করতে চান না। তিনি আরো বলেন, শিগগিরই নতুন সরকারের বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
নাসিম শান্তিপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্পর্কেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আল্লাহর শুকরিয়া। দেশে যুদ্ধের অবসান ঘটেছে।
তিনি বলেন, আমরা দেশের মুক্তি ও জনগণের স্বাধীনতা চেয়েছিলাম, তা পেয়েছি। আমরা আমাদের দেশকে অন্যদের ব্যবহার করতে দেব না। আমরা অন্য কারো ক্ষতি চাই না।
সূত্র : আল জাজিরা
ভারতের প্রতি তালেবানের হুঁশিয়ারি
আফগানিস্তানের উন্নয়নকাজে সহযোগিতা ও মানবিক ত্রাণ পরিচালনা করায় ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে তালেবান। একইসাথে দেশটিতে সামরিক তৎপরতা চালানোর ক্ষেত্রে নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে তারা।
তালেবান মুখপাত্র সোহেল শাহিন এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আফগানিস্তানে ভারতীয় সেনা উপস্থিতির পরিণতি ভালো হবে না। ভারতীয়রা আফগানিস্তানে অন্যান্য দেশের সামরিক উপস্থিতির পরিণতি স্বচক্ষে দেখেছেন।
একইসাথে শাহিন বলেন, আফগানিস্তানের অবকাঠামো নির্মাণ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, পুনর্গঠন ও জনকল্যাণে ভারত যেসব কাজ করেছে সেজন্য আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
গত দুই দশকে আফগানিস্তানের অবকাঠামো নির্মাণ কাজে কয়েক শ’ কোটি ডলার খরচ করেছে ভারত।
তালেবান ক্ষমতা গ্রহণ করলে বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে সে সম্পর্কে তালেবান মুখপাত্র বলেন, কূটনীতিকদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার; তাদের কোনো ক্ষতি আমরা করব না।
সাক্ষাৎকারে উগ্র ‘জঙ্গি’ গোষ্ঠীগুলোর সাথে তালেবানের সম্পর্ক থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন সোহেল শাহিন। তিনি বলেন, ভারতসহ অন্য কোনো দেশে হামলা চালানোর কাজে আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করার অনুমতি দেবে না তালেবান।
সূত্র : পার্স টুডে