গাজীপুর নগরবাসীর চোখের জলে রাজপথে বন্যা-১৪

Slider টপ নিউজ

গাজীপুর:কৃত্তিম যানজটের একটি অন্যতম কারন চাঁদাবাজি। বাসষ্ট্যান্ড, টেম্পুষ্ট্যান্ড, ফুটপাতের দোকান, চেকপোস্ট এসব থেকে চাঁদা উত্তোলণ হয়। সাধারণত পুলিশ এই চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত। চাঁদাবাজিতে নিরাপদ করতে কতিপয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও কথিত ক্যাডার ও সোর্স ম্যানেজ করে চলে পুলিশ। চাঁদাবাজির একটা বিশাল অংক রাজপথ। কোন পুলিশ কর্মকর্তা নতুন বদলি হওয়ার সাথে সাথে রাজপথের চাঁদাবাজির হিসাব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। যে পুলিশ স্টেশন এলাকায় রাজপথের চাঁদাবাজি অধিক্ষেত্র ব্যপক সেই স্টেশেনের ডিমান্ড +বেশি। মূখরোচক আলোচনা আছে যে, চাঁদাবাজির বড় সেক্টরে পুলিশ অফিসার বদলি হলে, মোটা অংকের টাকা খরচ করতে হয়। ফলে রাজপথে চাঁদাবাজি ইতোমধ্যে যানজটের জন্য বড় ধরনের বাঁধা তৈরি করে ফেলেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ফুটপাতের দোকান, বাসষ্ট্যান্ড টেম্পুষ্ট্যান্ড এসব জায়গায় চাঁদা উত্তোলণ করে সংশ্লিষ্ট পেশার কোন ব্যবসায়ী। এই টাকা তুলে এক হাতে গোপনে দেওয়া হয় কর্তব্যরত পুলিশকে। পুলিশ এই চাঁদার টাকা দিয়ে সংশ্লিষ্ট সেক্টর সমূহ ম্যানেজ করে। এসব ছাড়া রাজপথের দুই পাশে সরকারি জায়গায় ভাসমান স্থায়ী দোকান থেকে মাসিক হিসেবে চাঁদা উত্তোলণ করা হয়। এই চাঁদা একই প্রক্রিয়ায় সব জায়গায় চলে যায়। গোপন অনুসন্ধানে জানা যায়, পুলিশ চেকপোষ্ট থেকে কৌশলে চাঁদা উত্তোলণ করা হয়। গাজীপুর মহানগরে চান্দনা চৌরাস্তায় ভোগড়া বাইপাস, মিরের বাজার, টঙ্গী স্টেশন রোড, কোনাবাড়ী, সালনা, রাজেন্দ্রপুর, বোর্ড বাজার এই ধরনের জায়গায় পুলিশ ক্যাম্প বা অস্থায়ী চৌকি থেকে চাঁদা উত্তোলণ করা হয়। কারনে অকারনে মাঝে মাঝে চেকপোষ্ট এলাকায় লম্বা গণপরিবহনের সারি দেখা যায়। চাঁদা উত্তোলণে বিলম্ব হওয়ায় গণপরিবহনের দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। গণ পরিবহন ছাড়াও ব্যক্তিগত পণ্যবাহী পরিবহন ঠুনকো অজুহাতে মাঝে মাঝে চাঁদাবাজির শিকার হয়। ফলে যানজট সৃষ্টির কারনগুলোর পাশা পাশি গণপরিবহনে চাঁদাবাজি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অবকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি গণপরিবহনে চাঁদাবাজি কৃত্তিম যানজটে প্রভাব ফেলবে।

(চলবে……)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *