ঢাকার বোট ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢালিউডের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি মামলা করেন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচজনের বিরুদ্ধে। গত ৮ই জুন সাভারের আশুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টা হয়। এরপর ১৩ই জুন সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এবং রাতে বাসায় সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন তিনি। পরদিন এ ঘটনায় সাভার থানায় মামলা করেন ঢাকাই ছবির আলোচিত এ নায়িকা। তবে শুরুতে এ অভিযোগ নিয়ে পরীমনি সরব ভূমিকায় থাকলেও বর্তমানে একবারেই চুপচাপ আছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন হার মানবেন না গণমাধ্যমকে এমন কথা বললেও তার সেই কথার সঙ্গে কাজের মিল পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি এখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন। আর তিনি চুপ থাকার কারণে সিনেমাপাড়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের মনে সন্দেহের দানা বেঁধেছে।
অভিযোগের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। পরীমনির অভিযোগে পাল্টা নানা অভিযোগ উঠে আসছে এক এক করে। প্রশাসনও সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। এই নায়িকা নাকি তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিসহ কয়েকজন তরুণ-তরুণী নিয়ে প্রায় রাতেই অভিজাত ক্লাব ও তারকা হোটেলে ঘুরে বেড়াতেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে মদ পান করতেন মধ্যরাত পর্যন্ত। এক্ষেত্রে প্রায় রাতেই তার কারণে ক্লাবের আইন ভাঙা হতো। বিশেষ করে হাফপ্যান্ট পরে তার সঙ্গী হওয়া জিমি ড্রেসকোডের তোয়াক্কা করতেন না কখনোই। এক ক্লাবে সময় কাটিয়ে তিনি যেতেন আরেক ক্লাবে। ইতিমধ্যে গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাব এবং বনানী ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে এ নায়িকার বিরুদ্ধে। বিষয়টি পুলিশকে না জানানো হলেও ক্লাবের রেজিস্ট্রারে ‘অপ্রীতিকর’ ঘটনা হিসেবে নথিবদ্ধ করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে পরীমনি গণমাধ্যমকে বলেন, এটা একটা ষড়যন্ত্র। এতদিন পর এই ঘটনাগুলো কেন সামনে এলো? আমার ওপর নির্যাতনের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতেই একটি মহল এটি করছে। সবশেষ পরীমনি তার ফেসবুক দেয়ালে শারীরিক কসরতের ছবি প্রকাশ করেছেন। তবে কি পরীমনি তার জায়গায় সঠিক ছিলেন না? বা এই ইস্যু থেকে তিনি বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। এমন আভাসও কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে, তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে বনানীর বাসায় বিশ্রামে আছেন।