মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ থেকে সূত্রপাত

Slider জাতীয়


ঢাকা: রাজধানী মহাখালীর সাততলা বস্তিতে লাগা ভয়াবহ আগুন দীর্ঘ দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আজ ভোর ৪টায় এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট ও স্থানীয় বস্তিবাসীদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ভয়াবহ এই আগুনে পুড়ে গেছে শত শত ঘর। এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছে এসব পরিবার। অবৈধ গ্যাস ও বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন। আজ সকাল ৭টায় ঘটনাস্থলে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই ভোর ৩টা ৫৯ মিনিটে।

১৩ মিনিটের মধ্যে আমাদের প্রথম ইউনিট (৪টা ১২ মিনিটে) ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং তখন থেকে আমরা কাজ করছি। পরে ভোর ৬টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি আরও বলেন, বস্তিতে টিনের ঘর অনেক বেশি সেপারেশন হওয়ায় আমাদের আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের ১৮টি ইউনিট কাজ করেছে। এখন পর্যন্ত আগুনে কোন হতাহতের ঘটনা আমাদের চোখে পড়েনি, কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়, তবে শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে বলে আমরা ধারণা করছি। ঘরে থাকা আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুতের লাইন রয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি, এই দুইটার থেকে যেকোনো একটি কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ভোর ৪টার দিকে বস্তিতে আগুনের লাগে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয় বস্তিবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। আগুনে দুই শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। সাততলা বস্তিতে প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার ঘর রয়েছে। নি¤œআয়ের মানুষ কমভাড়ায় সেখানে বসবাস করেন।

সূত্র জানায়, এর আগে ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ডিসেম্বরে এবং ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর মহাখালীর এই বস্তিতে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। প্রতিবারই বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগের দুর্বল তারের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আর সেই ঝুঁকি এখনও রয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *