চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়েছে। গত ২৬ দিন ধরে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থেকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে, এমনটাই জানালেন তার স্ত্রী ফারহানা পাঠান।
এর আগে, ৩৭ দিন পর গত ২৭ এপ্রিল এই অভিনেতাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা আবার খারাপ হলে পুনরায় আইসিইউতে নেওয়া হয় মিয়া ভাই’খ্যাত এই অভিনেতাকে।
গণমাধ্যমকে ফারহানা পাঠান বলেন, ‘গত মাসে মাত্র দুই দিনের জন্য কেবিনে আনা হয় ফারুককে। তার সুস্থতার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী হয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে তার শারীরিক অবস্থা আবার খারাপ হওয়ায় গত ১ মে থেকে তাকে ফের আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে আইসিইউতেই তার চিকিৎসাসেবা চলছে। স্বাভাবিকভাবে খাবার খাওয়ানো যাচ্ছে না ফারুককে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফারুকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি নিয়ে দেওয়ার মতো নতুন কোনো তথ্য নেই। চিকিৎসক বলেছেন, আমাদের ধৈর্য ধরতে। আমরা তাই করছি। দেশবাসীর কাছেও ফারুকের জন্য দোয়া চাইছি।’
গত ৪ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলছে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার। প্রথমে তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মস্তিষ্কেও সংক্রমণ পাওয়া যায়।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন সদ্য প্রয়াত ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী।
১৯৭৫ সালে ফারুক অভিনীত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ সিনেমা দুটি ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ওই বছর ‘লাঠিয়াল’র জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তার অভিনীত কালজয়ী সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘সূর্যগ্রহণ’, ‘নয়নমণি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ইত্যাদি। ফারুক একাদশ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।