ইরফান সেলিম কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত

Slider রাজনীতি

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দণ্ডে কারাগারে যাওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

উপসচিব আ ন ম ফয়জুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ধারা ১২ এর উপ-ধারা (১) এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০নং সাধারণ ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। এর আগে, মঙ্গলবার সকালে এ বিষয়ে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আইন অনুসারে প্রথমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। এরপর স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে। যেহেতু বিচারাধীন বিষয়, তাই তার বিষয়ে কোর্টের আদেশ আমলে নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। মন্দ কাজ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
তিনি কোন দলের, কি পদবীধারী তা বিবেচনা করা হবে না।

গত রোববার রাতে ধানমন্ডিতে এমপি হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সোমবার ভোরে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ মামলায় সোমবার দুপুরে ইরফানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়। বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। পরে ইরফান সেলিমকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। এদিকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় ইরফান সেলিমকে সাতদিনের রিমান্ডে চাইবে পুলিশ। বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে এ আবেদনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন ইরফান। বিদেশে লেখাপড়া করে আসা ইরফান বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের পরিচালকদের একজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *