বান্দরবান: বান্দরবানের লামায় প্রবাসীর নিহত স্ত্রী ও বড় মেয়ের শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। মা ও মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন পাওয়া যাওয়ায় হত্যার আগে তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে ধর্ষণের বিষয়ে পুুরোপুরি নিশ্চিত হতে পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আলোচিত এ হত্যাকা-ের চার দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে নেওয়া নিহতের দেবর, বোনসহ ছয়জনকে জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের লাশ বান্দরবান থেকে লামায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদ আসার পর রবিবার রাত ১০টায় তার স্ত্রী-মেয়েসহ তিনজনের লাশ দাফন করা হয়। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্ত্রী-কন্যার শোকে নুর মোহাম্মদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে আকাশ।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। যাদের সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহত মা-মেয়ের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাদের হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পরীক্ষার জন্য আলামত পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় লামা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের চম্পাতলী এলাকার কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদের ঘর থেকে তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- নুর মোহাম্মদের স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪০), বড় মেয়ে রাফি (১৩) ও ছোট মেয়ে নুরি (১০ মাস)।