পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে আরও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এ পরিণত হয়েছে এবং একই এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে; পাঁয়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এসময় সাগর উত্তাল রয়েছে বলে জানান তিনি।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পাঁয়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে তাপদাহের মধ্যে শনিবার বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, ওই রাতে সেটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নেয়। গতকাল রোববার বেলা ১২টার দিকে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়। মধ্যরাতে তা গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়। এরপর সোমবার এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ এ পরিণত হলো। বুধবার তা উপকূল অতিক্রম করার পূর্বাভাস রয়েছে। উপকূল অতিক্রমকালে বৃষ্টি ঝরিয়ে তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাবে।