ঢাকাঃ অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ রিমান্ড না মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানিতে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ঢাকা মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আবু। অপরদিকে রোজিনার পক্ষে ছিলেন ছিলেন এড. আহসানুল হক সমাজী ও প্রশান্ত কর্মকার।
রোজিনা ইসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী গণমাধ্যমকে বলেন, রোজিনার রিমান্ড আবেদন বাতিল করেছে। আগামী বৃহস্পতিবার জামিন আবেদনের শুনানি হবে। কারাবিধি অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে এজলাসে উঠানো হয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে। সাধারণত এজলাসে স্বজন ও সাংবাদিকদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও এদিন কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড না মঞ্জুর করেন।
তার আগে সকাল ৮টার দিকে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন।
সোমবার রাতভর শাহবাগ থানায় আটক রেখে আজ সকালে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় তাকে শাহবাগ থানা থেকে আদালতে নেয়া হয়। রোজিনা ইসলামকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
এদিকে দন্ডবিধির ৩৬৯ ও ৪১১ ধারা এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের ৩ ও ৫ ধারায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো রোজিনা ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।
তার আগে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সেখানে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ জানায়, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলাকরা হয়। তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।