মুন্সীগঞ্জ: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে অবশেষে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল। সোমবার (১০ মে) সন্ধ্যায় এ খবর নিশ্চিত করেছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই জানা যায় ফেরি চলাচল করছে। তবে এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির কোনো কর্মকর্তাই রাতে কোনো ফোন রিসিভ করেননি। তবে রাতভর ১৩টি ফেরি দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি ও যাত্রী পারাপার করছে। ভোর সাড়ে ৬টায় এনায়েতপুরী মাওয়া শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরি ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। অথচ ঘাটে বিজিবি, পুলিশ ও নৌ পুলিশের টহল রয়েছে চোখে পড়ার মতো। তাদের সকল চেষ্টাই যেন ব্যর্থ করে দিয়েছে নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়া মানুষের জোয়ার। রাতে ১৩টি ফেরি চলাচল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাওয়া-শিমুলিয়া ঘাটের নৌফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির।
সোমবার (১০ মে) সকাল থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষ দৌড়ে দৌড়ে ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে। দিনভর বন্ধের নাটক করে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের রাতে ছেড়ে দেয়া হয়। ফলে নারী পুরুষ যাত্রীদের মারাত্মক ভোগান্তি পার করে গভীর রাতে মাওয়া ছেড়ে গেছে সকল যাত্রী। অপরদিকে সাত দিন ধরে মালবাহী অনেক ট্রাক ঘাটে আটকে রয়েছে। তারা কখন যেতে পারবে তা অনিশ্চিত।
রোববার দিনভর ফেরি চলাচল বন্ধ চালুর নাটক করেছে বিআইডব্লিউটিসি। জরুরি অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি হাজার হাজার যাত্রী পদ্মা পার হয়।
শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, রোববার ‘সারা দিন ফেরি বন্ধ ছিল। রাত ১০টা থেকে ফেরি চালু করা হয়। সকাল ৮টার পর থেকে সমস্ত ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হতে পারে।
এদিকে মাওয়া শিমুলিয়া ঘাট এরিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে নানাভাবে ২৫ টাকা হারে টিকিট কেটে ফেরিতে উঠাতে দেখা যায়।
এদিকে, লঞ্চ, স্পিডবোট আগে থেকেই বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীরা। তারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিএনজি, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারযোগে ঘাটে পৌঁছান। ঘাটের প্রবেশমুখ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বিজিবি মোতায়েন থাকলেও বিভিন্ন পথে হেঁটে ঘাটের দিকে যাত্রীদের যেতে দেখা গেছে। কখনো ঘাটের আশপাশের এলাকা থেকে মাছ ধরার ট্রলারে চেপে পদ্মা পাড়ি দেয়ার চেষ্টাও করেন যাত্রীরা।
শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কনকসা, হলদিয়া ও কুমারভোগ থেকে ৩০০-৪০০ টাকা দিয়ে ট্রলার দিয়ে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা পারাপার হচ্ছে।