চিকিৎসকের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা : সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বদলি

Slider সারাদেশ

ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মামুনুর রশীদকে বরিশাল বিভাগে বদলি করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালে গত রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে এক চিকিৎসকের পরিচয়পত্র দেখা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে এক চিকিৎসকের বাগ্‌বিতণ্ডার সময় সেখানে এই ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতে দায়িত্বরত ছিলেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব শেখ ইউসুফ হারুন আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তাকে বদলি করা হয়েছে। তার বদলির বিষয়টি আগে থেকেই প্রক্রিয়াধীন ছিল। ’

গত রোববার এলিফ্যান্ট রোডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় নিরাপত্তাচৌকিতে দায়িত্ব পালনরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী চিকিৎসকের পরিচয়পত্র দেখতে চান। ওই চিকিৎসক নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায় ওই নারী চিকিৎসকের পরিচয়পত্র দেখতে চান পুলিশ সদস্যরা। ঘটনার সময় উত্তেজিত হয়ে পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা করতে দেখা যায় ওই চিকিৎসককে। তাকে উত্তেজিত ভঙ্গিতে কথা বলতে শোনা যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়।

এই ঘটনার পর চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়।

চিকিৎসকের দাবি, চিকিৎসককে ইচ্ছা করে হয়রানি করা হয়েছে। তার গাড়িতে লকডাউনের সময় হাসপাতালে কাজ করার আদেশনামা ছিল, পরনে অ্যাপ্রোন ছিল এবং গাড়িতে হাসপাতালের স্টিকার লাগানো ছিল। আর পুলিশের পক্ষের দাবি, চিকিৎসক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করেছেন এবং গালি দিয়েছেন। তিনি নিজ মন্ত্রণালয়ের বৈধ আদেশ লঙ্ঘন এবং ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয় পুলিশের বিবৃতিতে।

এর আগে বিএমএ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে এলিফ্যান্ট রোডে চিকিৎসককে হেনস্তায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছিল। ওই দিনের ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংবাদ ব্রিফিংয়ে চিকিৎসকদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। চেকপোস্টে ‘চাহিবামাত্র তা প্রদর্শনেরও’ অনুরোধ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *