করোনা শনাক্ত, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু

Slider বাংলার মুখোমুখি


বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এমন খবর একাধিক সূত্র জানাচ্ছে। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। খালেদার পারিবারিক সূত্র বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছে।

পরিবার থেকে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট আসার পরেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

আরেকটি সূত্র জানাচ্ছে, দল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, কয়েক দিন ধরে খালেদা জিয়া জ্বরে ভুগছেন। তাই তিনি করোনা সংক্রমিত কিনা জানতে শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ঢাকার অন্যতম একটি হাসপাতালে তার করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সেই পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে।

দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দলের বক্তব্য নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়। কেউই নিশ্চিত করছেন না।

এদিকে, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুনের উদ্ধৃতি দিয়ে গুলশান কার্যালয়ের প্রেস উইংইয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নিয়মিত চেক আপ করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য কোনো নমুনাই নেওয়া হয়নি।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্টের রিপোর্টের একটি কপি ভাইরাল হয়েছে। সেটি কিউআর কোড স্ক্যান করলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফল জানা যায় সেখানে চলে যায়। সেখানে এই কপিটি দেখা যায়। রিপোর্টে যে ফোন নম্বরটা দেওয়া হয়েছে, সেটি বিএনপির চেয়ারপারসনের মেডিকেল টিমের টেকনোলজিস্ট মো. সবুজের। তবে তিনি খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হওয়া বা না হওয়া বিষয়ে কিছু জানেন না।

এদিকে খালেদা জিয়ার আরেকজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ আমি নিজেই অসুস্থ হয়ে বাসায় রয়েছি। ডা. মামুনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনিও নিয়মিত চেকআপের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত হয়ে ডা. জাহিদ করোনা আক্রান্ত হয়ে বেশকিছুদিন থেকে বাসায় অবস্থান করছেন।

খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে জামিনে রয়েছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় তাকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর গত বছর করোনা মহামারির কারণে পরিবারের আবেদনে তাকে ছয় মাসের জামিনে মুক্তি দেয় সরকার, যা তিন দফায় বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে পরিবারের সদস্য ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক বাদে অন্য কেউ দেখা করতে পারেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *