মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপের প্রেক্ষিতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য ৫৭২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই ৫০ জনের ওপরে মারা যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড। নতুন করে মারা যাওয়া ৭৪ জনকে নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৫২১ জনে। এছাড়া নতুন করে আরও ৬ হাজার ৮৫৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
করোনার এই তীব্র সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত ৫ এপ্রিল থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এসময় কর্মহীন হয়ে যাওয়া মানুষের সহায়তায় আর্থিক সহায়তা বরাদ্দ দিল সরকার।
তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) কর্মসূচির আওতায় এ আর্থিক সহায়তায় পরিবারপ্রতি ৪৫ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি চালের সমমূল্য, অর্থাৎ কার্ডপ্রতি ৪৫০ টাকা দেয়া হবে।
জানা গেছে, দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি কার্ড এবং ৩২৮টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৬টি কার্ডসহ মোট এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে ৪৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পরিবারপ্রতি ১০ কেজি চালের সমমূল্য, অর্থাৎ কার্ডপ্রতি ৪৫০ টাকা হারে এ বরাদ্দ দেয়া হয়।
এছাড়া করোনাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য সহায়তার জন্য ১২১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। ৬৪টি জেলার ৪ হাজার ৫৬৮টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হারে মোট ১১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা মানবিক সহায়তা দেয়া হবে।
সারাদেশের ৩২৮টি পৌরসভার অনুকূলে মোট ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির প্রতিটি পৌরসভার জন্য ২ লাখ টাকা, ‘বি’ ক্যাটাগরির প্রতিটি পৌরসভার জন্য এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরির প্রতিটি পৌরসভার জন্য এক লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয়। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর, গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য ৭ লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয়।
ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের জন্য ৫ লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসনের অনুকূলে ‘এ’ ক্যাটাগরির জন্য ২ লাখ টাকা ‘বি’ ক্যাটাগরির জন্য এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরির জন্য এক লাখ টাকা হারে মোট এক কোটি ৭৭ লাখ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।