স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সিনেমার ব্যাবসার সাথে জরীত। শাকিব খান থেকে শুরু করে দেশের খ্যাতনামা তারকারা তাদের সিনেমায় কাজ করেছেন। কিন্তু বছর দুয়েক আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ সাবেক স্ত্রী তাহেরা ফেরদৌস জেনিফারকে ফিল্মি স্টাইলে উঠিয়ে আনার চেষ্টা করেন প্রযোজক নেতা মো. ইকবাল।
এ ব্যাপারে মঙ্গবার মধ্যরাতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেনিফার। প্রথম অভিযোগ, সাবেক স্ত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে করতে চাওয়া এবং ইন্টারনেটে অশ্লীল ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি।
তাদের দুজনের ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন, উপস্থাপক, প্রযোজক, ব্যবসায়ী তাহেরা ফেরদৌস জেনিফারের সাথে তিন বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়েছে চলচ্চিত্র প্রযোজক মো. ইকবালের। বনিবনা না হওয়ায় একপর্যায়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেনিফার। দুজনের ছাড়াছাড়ি হওয়ার আগে সাবেক স্বামী ইকবালের বিরুদ্ধে ঢাকার কলাবাগান থানায় নারী নির্যাতন মামলাও দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পরপরই তারা দুজন আলাদা হয়ে যান। ইকবালের বিরুদ্ধে নতুন করে সাধারণ ডায়েরি করার কারণ কী? জানতে চাইলে তাহেরা ফেরদৌস জেনিফার অভিযোগ করেন, ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পরও সাবেক স্বামী তার পিছু ছাড়েননি।
মঙ্গলবার ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জেনিফার ব্যবসায়িক মিটিংয়ে অংশ নেন। হঠাৎ সেখানে দেখা হয় ইকবালের সাথে। উপস্থিত অন্যদের সামনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটান ইকবাল। ঘটনার পরপরই হোটেল থেকে বের হয়েই জেনিফার হাতিরঝিল থাকায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন, ইকবালের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর থেকেই তিনি নিজের মতো করেই থাকেন। ব্যবসা-বাণিজ্য করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করছেন। তালাকের পরও সাবেক স্বামী মো. ইকবালের বিরুদ্ধে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আদালতে মামলা চলমান রাখেন। এই কারণে বিবাদী তাঁকে নানা সময় নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেন। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জেনিফারের নামে অপপ্রচার চালাতে থাকেন বলে জেনিফারের অভিযোগ।
প্রযোজক ইকবাল বলেছেন, ‘সোনারগাঁও হোটেলে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে এবং তর্কাতর্কি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বিয়ে করার কথা, থাপ্পড় মারাসহ অন্যান্য বিষয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। যাঁর সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে, তাঁকে আবার বিয়ে করার তো প্রশ্নই আসে না।’