শ্রীপুরে হাসপাতালে ধর্ষন, কলেজে দরবার, গর্ভবতী পোষাককর্মী নিরাপত্তাহীনতায়

Slider টপ নিউজ

গাজীপুর: জেলার শ্রীপুর উপেজলায় ধর্ষিতা পোষাককর্মী এখন অন্ত:সত্বা। ভিকটিমের ভাষ্যমতে, একাধিকবার ধর্ষণের মধ্যো দুইবার ধর্ষক তার বাবার হাসপাতালে ডাক্তারের চেম্বারে ধর্ষণ করেছে।

প্রথম ধর্ষণের ভিডিও ফেরত দেয়ার কথা বলে চার বছর ধরে চলে ধর্ষণ। ভিডিও দেখিয়ে জিম্মি করে হাতিয়ে নেয় ভিকটিমের চার বছরের যাবতীয় উপার্জন( ৮ লাখ টাকার বেশী)। অবশেষে অন্ত:সত্বার কথা বলায় ধর্ষক বিয়ের কথা বলে বাড়িতে নিয়ে পরিবারের লোকজন দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া ভিকটিমকে। এরপর থেকে ধর্ষক পলাতক। অত:পর একটি কলেজে হাসপাতালের পরিচালক কাম অধ্যক্ষ আপোষের কথা বলে একাধিকবার করেন দেনদরবার। টাকার বিনিময়ে ওই অধ্যক্ষ মামলা না করার জন্য চাপ দেয় ভিকটিমকে। অত:পর মামলা হলেও পুলিশ কোন আসামী ধরছে না। উল্টো ভিকটিমকে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করার মিশন চলছে। ফলে নিরাপত্তাহীন হয়ে ভিকটিম প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ঘটনাটি শ্রীপুর থানাধীন বেড়াইদের চালা গ্রামের।

ভিকটিম জানায়, ২৫ হাজার টাকা বেতনে তিনি এসকিউ নামক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতেন। একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতেন শাকিল প্রধাণ। সহকর্মীর পরিচয় থেকে ফোনে ও ফেসবুকে ঘনিষ্ঠতা। তারপর প্রেম। বিয়ের কথা বলে প্রথম ধর্ষণ। ধর্ষকের সহযোগী ৪ বন্ধু রাজিব, শামিম, সাখাওয়াত, সোহাগ করেন ধর্ষণের ভিডিও। আর এই ভিডিও দেখিয়ে ৪ বছর ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ। প্রাইভেট গাড়িতে করে বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা। বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের মধ্যো দুইবার ধর্ষণ হয় পদ্মা ডিজিটাল হাসপাতালে ডাক্তারের চেম্বারে।

পদ্মা ডায়গনষ্টিক হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের ৫ জন মালিক। ৫ জনের মধ্যো ধর্ষকের পিতা শহীদুল্লাহ প্রধান ও ফুফা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম দুইজনই পরিচালক। পরিচালকের ছেলে হিসেবে শাকিল প্রথান ডাক্তারের চেম্বার ব্যবহার করতেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ম্যানেজার কামরুল হাসান।

এদিকে ধর্ষণের পর অন্ত:সত্বা ভিকটিমকে নিয়ে আপোষের দেনবার হয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের কলেজে বলেছেন ভিকটিম। তবে রফিকুল ইসলাম দেনদরবারের কথা স্বীকার করলেও দরবারের স্থান সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলেননি।

ভিকটিমের আবেদন, আমি ন্যায় বিচার চাই। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় থাকার কথা বলে ভিকটিম জানায়, আসামীরা যে কোন সময় আমাকে মেরে ফেলতে পারেন। তাই রাষ্ট্রের কাছে তিনি নিরাপত্তা দাবী করছেন।

শ্রীপুর মডেল থানার ওসি খন্দকার ইমাম হোসেন বলেছেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *