বৃটেনে খুলে দেয়া হচ্ছে স্কুল। এরইমধ্যে খুলে গেছে ৪০ শতাংশ এবং এ সপ্তাহের মধ্যেই দেশের সব স্কুল খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। একইসঙ্গে, শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাতে অভিবাবকদের ওপর চাপও দেয়া হচ্ছে। বৃটিশ মন্ত্রী নিক গিব জানিয়েছেন, যদি শিক্ষার্থীরা স্কুলে না আসে তাহলে তার অভিবাবকদের জরিমানা দিতে হবে। তবে জরিমানা করা হবে তাদের সর্বশেষ অস্ত্র। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি এ সপ্তাহের মধ্যে স্কুল গেটে না পৌঁছায় তাহলে অভিবাবকদের জরিমানা থেকে নিস্তার নেই।
এদিকে, বৃটিশ অভিবাবকদের করোনা নিয়ে কেমন আতঙ্ক রয়েছে তা জানতে একটি জরিপ চালানো হয়েছে। এতে জানা গেছে, দেশটির ১৭ শতাংশ বাবা-মা এই মহামারির মধ্যে সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে চিন্তিত এবং তারা তাদের সন্তানকে স্কুলে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বৃটেনের স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন জানিয়েছে, যতদিন স্কুলগুলো আবারো তাদের করোনা নিরাপত্তা নিশ্চিত না করছে ততদিন অভিবাবকদের জরিমানা থেকে মুক্ত রাখা হোক। তবে মন্ত্রী নিক গিব স্পষ্ট করে এর জবাবে বলেছেন, এরইমধ্যে স্কুলগুলো করোনা মোকাবেলায় দারুণ প্রস্তুতি নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের এখন স্কুলে না আসার কোনো কারণ থাকতে পারে না।
স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার তিনি বলেন, এ দেশে স্কুলে পড়া আবশ্যক। আমরা বাধ্যতামূলক শিক্ষায় বিশ্বাসী। তাই শিক্ষার্থী ও তার অভিবাবকদের ওপর এই আইন আজকে থেকেই কার্যকরি হবে।