নারায়নগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে এক গার্মেন্টসকর্মী তরুনী গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। পুলিশ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার পাগলা খেয়াঘাটের পাশে বালুর ঘাটে। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ বুধবার গভীর রাত হতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফতুল্লার পাগলা ও আলীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সোনারগায়ের মুসার চর ভূইয়াপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে রবিন (২১), ফতুল্লার আলীগঞ্জের শিবলু কাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া নুরুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (২১), আলীগঞ্জের জোড়া ৫ তলার পাশে মহিবুল্লাহর ছেলে হিমেল (২০), আলীগঞ্জের রেললাইন এলাকার মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে মোস্তাক (২২), একই এলাকার পলাশ নেতার তেলের পাম্পের পাশে আকবর বেপারীর বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল আউয়াল হাওলাদারের ছেলে মাসুম (২০)।
ফতুল্লা মডেল থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মীর বরাত দিয়ে বলেন, কেরানীগঞ্জের পানগাও এলাকার ১৮ বছরের এক তরুনী ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীর একটি গার্মেন্টে চাকরী করে। প্রতিদিন বিকেল ৫ টায় আবার কোন সময় রাত ৮ টায় গার্মেন্ট ছুটি হওয়ার পর অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে বাসা চলে যান। বুধবার কাজের চাপ থাকায় ওভারটাইম শেষ হওয়ার পর রাত ১২ টায় ছুটি হয়। তার পর একই কারখানায় চাকরী করে এক বান্ধবীর সঙ্গে বাসার উদ্দ্যেশে রওনা হয়।
দুই বান্ধবী পঞ্চবটি হতে অটোরিকশা নিয়ে পাগলা খেয়াঘাটে যায়। তারা নৌকার জন্য অপেক্ষা করে এবং সঙ্গে অটো রিকশা চালকও। কিছুক্ষণ পর এক বখাটে খেয়াঘাটে দুই তরুনীকে দেখে ফোন করে অন্যদের ডেকে আনে। তারা ৬ জন একত্রিত হয়ে চালককে হুমকি দিয়ে তারা দুই তরুনীকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে চালক এক তরুনীকে বাঁচিয়ে আনতে পারলেও অন্যজনকে আনতে পারেনি। আর রাত দেড়টার দিকে ৬ জন মিলে পালাক্রমে গার্মেন্টস কর্মী তরুনীকে ধর্ষণ করে।
তিনি আরো বলেন, ধর্ষণের ঘটনার এক ঘণ্টা পর তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থানায় এসে অভিযোগ দায়েরের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাত হতে সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এমনকি ধর্ষণের শিকার তরুনীর বান্ধবীসহ অটোরিকশা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনার সঙ্গে তাদের যোগসাজস রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হবে।