ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা ভ্যাকসিনে অনেক এগিয়ে গেছে। যারা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করছে তাদের সঙ্গে আমাদেরও যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। আমরা সেই ভ্যাকসিন আনার চেষ্টায় আছি। আমরা খুবই আনন্দিত যে, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা কমে গেছে। মৃত্যুর হার কমে গেছে। সুস্থতা বেড়ে গেছে। ভ্যাকসিন আনতে যদি দেরিও লাগে আমার কাছে মনে হয়, হয়তবো বেশি দিন লাগবে না বাংলাদেশ থেকে করোনা চলে যাবে। ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে কিনা জানি না।
তবে আমরা সবকিছু প্রস্তুত রেখেছি।
গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস এ জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে করোনা যুদ্ধে লিপ্ত। এটা এমন একটি ভাইরাস যার সম্পর্কে পৃথিবীর কারো কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। কিভাবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, কিভাবে এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে হবে, আমাদের কারো জানা ছিল না। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং পরামর্শে আজকে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের মৃত্যুর হার অন্য দেশের জনসংখ্যার তুলনায় অনেক কম। আমাদের সুস্থতার হার অনেক ভালো। ৬০ ভাগেরও বেশি। সংক্রমণের হারও কমে আসছে। আজকে মানুষের মনে সাহস আসছে যখন তারা দেখতে পাচ্ছে যে মৃত্যুর হার কমে যাচ্ছে, হাসপাতালের ৭০ ভাগ বেড খালি। রাস্তায় কেউ পড়ে থাকেনি। হাসপাতালের বাইরে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যায়নি। এখন দেশের মানুষ কেউই ভয় পায় না। কারণ তারা জানে এখন দেশে চিকিৎসা রয়েছে। আমি মনে করি এটা আমাদের বিরাট অর্জন।
ওদিকে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের বিষয়ে বাংলাদেশ যাতে অগ্রাধিকার পায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। কীভাবে দেশের মানুষ ভ্যাকসিন পাবে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে পুরো পৃথিবী আক্রান্ত হয়েছিল। ইউরোপের প্রতিটি দেশে জনসংখ্যার হার কম হলেও সেখানে মৃত্যুর হার বেশি। বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করেছি। এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার মানুষ করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে। সুচিকিৎসা ও যথাযথ স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে মৃত্যুর হার কমিয়ে রাখতে পেরেছি। দেশ থেকে ধীরে ধীরে করোনার প্রকোপ কমে যাচ্ছে, মৃত্যুর হারও কমে যাচ্ছে।