জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, জনগণের আন্দোলনের তোড়ে দিশেহারা আওয়ামী মহাজোট সরকারের মন্ত্রীরা আবোল-তাবোল প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন। তারা ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের দেখামাত্র গুলি ও বুকে গুলি করে হত্যা করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীকে হুকুম দিয়েও গণআন্দোলন দমন করতে পারছে না।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সরকারের হত্যা, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসসহ স্বৈরাচারী দুঃশাসন অগ্রাহ্য করে দেশের সংগ্রামী জনগণ দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ মিছিল, সমাবেশ ও গণঅবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রেখে গণআন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ২০ দলীয় জোটের আন্দোলন, গণতন্ত্র ও সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু ও নিরপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দাবীতে জনগণ আন্দোলন করছে। জনগণের এ আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে।
তিনি দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ মিছিল, সমাবেশ ও গণঅবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রেখে আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে অপর এক বিবৃতিতে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতা আল-আমীন ও তার স্ত্রী বিউটি বেগম এবং তাদের প্রতিবেশী মৌসুমীকে অবিলম্বে তাদের পরিবার-পরিজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ। তিনি বলেন, গত ১৫ জানুয়ারী রাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আল-আমীনকে থানায় নিয়ে তাকে গুলি করে আহত করেছে এবং তার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। তাদেরকে তুলে নেয়ার পরে এক সপ্তাহ পার হলেও কোথায় কি অবস্থায় রাখা হয়েছে তা এখনও তাদের আত্মীয়, পরিবার-পরিজন জানে না। এজন্য তাদের আত্মীয়, পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক কেউ আটক বা গ্রেফতার হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে কোর্টে হাজির করার সাংবিধানিক ও আইনগত বাধ্য-বাধকতা থাকা সত্ত্বেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ তা করছে না। বিজ্ঞপ্তি