বন উজাড় করে কর্মচারীদের সহায়তায় হচ্ছে বসতবাড়ি

Slider গ্রাম বাংলা


রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিনিধি:গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর বিটের আওতাধীন উত্তর পেলাইদ এলাকায় বিস্তীর্ণ বন উজাড় করে স্থানীয় বন কর্মচারীদের সহায়তায় টাকার বিনিময়ে বসতবাড়ি নির্মাণের হিড়িক পড়েছে।

ভাওয়াল পরগণার শ্রীপুর উপজেলার টেংরা, সাইটালিয়া, সাতখামাইর, পেলাইদ ও তেলিহাটি মৌজার প্রায় হাজার একর জমি নিয়ে সমৃদ্ধ ছিল সাইটমনিগড় (স্থানীয় নাম)। এক সময় সংরক্ষিত এই বনা ল ছিল শাল, গজারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ভেষজ, বনজ উদ্ভিদ। কালের পরিক্রমায় উদ্ভিদের জায়গায়তে দখল করে সামাজিক বনায়নের নামে উডলট বাগান। বন কর্মচারীদের সহায়তায় সেই বাগান পরিষ্কার করে বসতবাড়ি নির্মাণ করছেন স্থাণীয়রা।

স্থানীয় বনের গার্ড বদিউজ্জামান ভূঁইয়া সমাজের স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বসতবাড়ি নির্মাণে করার মৌখিক অনুমতি দিচ্ছেন। উত্তর পেলাইদ গ্রামে বন কেটে একটি টিনসেড ঘর নির্মাণ করছেন কুলছুম আক্তার। তিনি বলেন, স্থাণীয় তমিজ উদ্দিন, সাঈদ মাষ্টার ও আব্দুল মালেকের সাথে সমন্বয় করে স্থানীয় বনের গার্ড বদিউজ্জামান ভূঁইয়া তাকে বাড়ি বানানোর মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন। ওই চালায় ৮/১০টি বাড়ির কাজ চলছে।

ওই এলাকার শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ওই এলাকাসহ আশপাশের বনের জমিতে বসত বাড়ি তৈরীর করার হিরিক পড়েছে। একটি পরিবার বনের জমিতে বাড়ি করার সুযোগ পেলে তাকে দেখে আরও অনেকেই বাড়ি করতে আগ্রহী হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে একটা সময় হয়তো বনই ধ্বংস হয়ে যাবে।

টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে গার্ড বদিউজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, কেউ হয়তো ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে এমন অভিযোগ তুলেছেন। তবে বনের জমিতে খুবই গরীব-অসহায় মানুষ বাড়ি নির্মাণ করেন। এখানে মানবিক দিক বিবেচনায় অনেক সময় কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

শ্রীপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, বনের জমিতে বসতবাড়িসহ কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণের নিয়ম নেই। কোথাও এ নিয়মের ব্যতয় ঘটলে বনের জমি রক্ষায় উচ্ছেদসহ দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *