শ্রীপুরে গর্তেপড়া শ্রমিক উদ্ধারে গর্ত করছে ফায়ার সার্ভিস

Slider জাতীয়

Gazipur__sm_298740228

শারমিন সরকার

ব্যুারো চীফ

শ্রীপুর অফিস: গাজীপুরের শ্রীপুরে টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য করা ২০ ফুট গর্তে পড়ে যাওয়ার পর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে শ্রমিক সাইদুর রহমানকে (২৮) উদ্ধারে বিঘ্ন ঘটছে।

টিউবওয়েলের গর্তের পাশাপাশি সমমাপের গর্ত করে তাকে উদ্ধার করতে হবে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ পরিদর্শক তাসারফ হোসেন।

তিনি বলেন, টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য যে গর্ত করা হয়েছে, সেই একই মাপে পাশাপাশি আরেক গর্ত করে ওই শ্রমিককে উদ্ধার করতে হবে। তবে সে যন্ত্রপাতি আমাদের কাছে নেই। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটের কারণে তা করা যাচ্ছে না।

তবে গর্তেপড়া শ্রমিক সাইদুর রহমান বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

এদিকে, শ্রমিক উদ্ধারে বিলম্ব করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের কাছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। কিন্তু শ্রমিক উদ্ধারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে গাজীপুর কিংবা ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কোনো ইউনিট আসেনি।

শ্রমিক সাইদুর রহমানকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটের কথা তাসারফ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানালেও ‌গাজীপুর জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আখতরুজ্জামান লিটন  জানান, শ্রীপুরের ফায়ার সার্ভিস ইউনিটই উদ্ধারে সক্ষম।

গর্ত করে শ্রমিক সাইদুর রহমানকে উদ্ধার করতে হবে। কিন্তু যন্ত্রপাতির সংকটের কারণে তাকে উদ্ধারে বিঘ্ন ঘটছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে শ্রীপুরের ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটের কর্মীরা কাজ করছেন। তারা কাজ করতে সক্ষম।

শ্রমিক উদ্ধারে গাজীপুর কিংবা ঢাকা থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে কোনো ইউনিট সেখানে যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

শনিবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা গ্রামের জনৈক আব্দুল জলিলের বাড়িতে টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য গর্ত করার কাজ চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য করা গর্তের ভেতর শ্রমিক সাইদুর রহমান পড়ে যান।

পরে খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে গর্তে পড়ে যাওয়া সাইদুরকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে।

ওই সময় উদ্ধার অভিযানের টিম লিডার শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ পরিদর্শক তাসারফ হোসেন  জানান, ওই শ্রমিককে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে মনে হয়, লোকটি বেঁচে নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *