কৃষকের জন্য ৫০০০ কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি জাতীয়


ঢাকা: করোনাভাইরাসে কৃষি খাতের ক্ষতি মোকাবেলায় কৃষকের জন্য ৫০০০ কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ তহবিল থেকে সহজ শর্তে মাত্র ৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবেন কৃষক।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে জেলা পর্যায়ে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে রোববার খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সূচনা বক্তব্যে এই প্রণোদনা ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন তিনি।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরে চাষীদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিরা পাঁচ শতাংশ সুদে এ ঋণ নিতে পারবেন। এছাড়া সারের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের জন্য ১০০ কোটি টাকা, বীজের জন্য ১৫০ কোটি টাকা এবং কৃষকদের জন্য আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ প্রণোদনা গ্রামাঞ্চলের ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের জন্য। যারা পোল্ট্রি, কৃষি ফার্ম, ফলমূল, মসলা জাতীয় খাদ্য পণ্য উৎপাদন করবেন তারা এখান থেকে ঋণ নিতে পারবেন। আমাদের আরও একটি উদ্যোগ চলমান আছে। পেঁয়াজ, রসুন, আদার মতো মসলা যারা উৎপাদন করছেন, তাদের জন্য ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হয়। এই সুবিধা চালু থাকবে। এর পাশাপাশি আমাদের নতুন স্কিম হিসেবে ৫ হাজার কোটি টাকার এই প্রণোদনা প্যাকজ চালু থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা এর আগে সব ধরনের শিল্প খাতের জন্য প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। কিন্তু আমরা কৃষিপ্রধান দেশ। ফলে আমাদের কৃষকদের জন্য সহায়তা প্রয়োজন। আমরা সেই সহায়তা অব্যাহত রাখব।

কৃষকরা যেন ন্যায্য মূল্যে পান, তা নিশ্চিত করতে এ বছর সরকারিভাবে ধান-চাল বেশি কেনার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কৃষিপ্রধান দেশ। কয়েকদিনের মধ্যে বোরো ধান উঠবে। কৃষক যেন ধানের ন্যায্য দাম পায়, সে জন্য এ বছর খাদ্য মন্ত্রণালয় গত বছরের চেয়ে আরও বেশি ধান-চাল কিনবে। এ বছর মন্ত্রণালয় থেকে ২ লাখ মেট্রিক টন ধান-চাল কেনা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। আমরা দেখেছি, অন্যান্য বছর ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যায় না। তবে এবার যেহেতু করোনাভাইরাসের কারণে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তারা এখন ধান টাকা ও মাড়াইয়ে কাজ করতে পারবেন। তারা কাজ করতে চাইলে সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

কৃষকের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ কোনও জায়গা ফাঁকা রাখবেন না। একটু জায়গাও ফেলে রাখবেন না। যার যতটুকু জায়গা আছে সবটুকুতে চাষাবাদ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *