করোনায় আক্রান্ত ছেলেটা বেঁচে থাকলে ডাক্তার বানাব বললেন বাবা

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি বিচিত্র

ঢাকা: করোনায় কাঁপছে গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশের পরিস্থিতিও ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ।

৪১ বছর বয়সী মো. জালাল। তার ৩ ছেলে । পরিবারে ৪ সদস্য অসুস্থ ছিলেন। এরপর আইইডিসিআর’এ যোগাযোগ করেন। শুধু এক ছেলের স্যাম্পল নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার পরীক্ষার ফলাফলে জেনেছেন, তার ছেলে করোনায় আক্রান্ত।

তবে তার মাঝে তেমন কোনো উপসর্গ নেই। কিন্তু জালাল ও তার স্ত্রীর গলা ব্যথা করছে। হচ্ছে শ্বাসকষ্ট। এই অবস্থায় বাড়ি থেকেও বের হতে পারছেন না। ছোট একটা ছেলে আক্রান্ত। কাছেও যেতে পারছেন না। তিনি বলেন, বাবা হিসেবে এটা আমার জন্য অনেক কষ্টের। বলেই কান্না শুরু করে দেন তিনি।

জালাল বলেন, আমার ছোট ছেলের বয়স ১০। ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। কোন প্রবাসীর সাথে মেশেনি। কিভাবে করোনা আক্রান্ত হল জানি না। আমি কাজ করি একটা জুতার দোকানে। খুবই খারাপ অবস্থায় আছি। বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ। কাউকে দিয়ে যে কিছু এনে নেবো সেই উপায়টাও নাই। কোন রকম খেয়ে বেঁচে আছি। খাবার সঙ্কট। এক দানশীল ব্যক্তির দানে ত কোনরকম খেয়ে বেঁচে আছি।

তিনি বলেন, আইইডসিআর আমাদের জানালো, ছেলের করোনা হয়েছে। এরপর কী করতে হবে? চিকিৎসা কী হবে? তাও বলল না। আমার ছেলেটা খুবই মেধাবী। বাচ্চাটা যদি বেঁচে যায়, ওরে ডাক্তার বানাবো।

আমার চাওয়া, আমাদের পরিবারটাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হোক। আমার ছেলেটারে বাঁচান।

তারা থাকেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, মৌচাক, মিজমিজি উত্তরপাড়ায়। তিনি বলেন, আমার যদি কিছু হয়ে যায়। অনুরোধ রইল, আমার অসহায় পরিবারটারে যেন দেখে রাখেন।

তার ছোট ভাই সবুজ বলেন, ভাবি ১০ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। এরপর ভাইয়ের জ্বর আসে। তারা দুজনই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। তার ভাই আরও বলেন, তাদের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। গতকাল পরিবারের অন্য সদস্যদের স্যাম্পল আইইডিসিআর নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *