জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দুই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত

Slider জাতীয় টপ নিউজ


মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসার ও নাগেরহাটে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দুই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে লৌহজং উপজেলার কনসার ও নাগের হাট গ্রামের মোট ১১টি পরিবারকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠায় উপজেলা প্রশাসন। সংক্রামন এড়াতে কনসার ও নাগেরহাট গ্রামের ১১টি পরিবার, মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিমসহ লাশ গোসল করানো ব্যক্তিকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।

পাশাপাশি লকডাউন করা হয় ৭টি বাড়ি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কাবিরুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানায়, নাগেরহাট গ্রামের হারুন বেপারী (৫৭) পিতা আব্দুল জলিল তিনি গত রবিবার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরিবারের লোকজন আশংকা করেছিলো হারুন বেপারীর শরীরে করোনারভাইরাসের উপস্থিতি আছে। তারা দ্রুত আইইডিসিআরের সাথে যোগাযোগ করে। আইইডিসিআর মৃত হারুন বেপারীরর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। পরবর্তীতে মৃত হারুন বেপারীকে লৌহজং উপজেলার নাগেরহাটের সাত ঘরিয়া গোরস্তানে দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার ওই মৃত ব্যক্তির রিপোর্টে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির বিষয়টি উঠে আসে।
অন্যদিকে, একই উপজেলার কনকসার গ্রামের ওহাব দেওয়ান (৬২) পিতা মঙ্গল দেওয়ান সোমবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা যায়। সে ঢাকাতেই থাকতেন। বেশ কয়েকদিন আগে তিনি নিজ গ্রামের কনকসারে এসে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন। সে ওই দিন তার নিজ গ্রামের বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন। এ জন্য তার সংস্পর্শে আসা ৭টি পরিবারকে লকডউন করা হয়েছে।

এদিকে মৃত হারুন বেপারীকে গোসল করানোর স্থানীয় সাত ঘরিয়া গোরস্তানের আব্দুর রবকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এবং তার পরিবারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪ দিনের খাবার সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *