তৈরি পোশাক কারখানা খোলা রাখায় নগরবাসী উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনেক নগরিক আমাদের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছেন।
শনিবার বিকেলে নগরভবনের সামনে গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী মহোদয়কে অনুরোধ করবো- বিষয়টি আরেকবার ভেবে দেখা যায় কিনা, পুনবিবেচনা করা যায় কিনা। বিষয়টি যদি তারা আরেকবার ভেবে দেখেন, সিচুয়েশন কী হতে পারে? ইতিবাচক কতোটুকু হতে পারে, কিংবা নেতিবাচক প্রভাব যদি পড়ে যায় সেক্ষেত্রে জটিলতা কতটুকু হতে পারে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি যদি বাণিজ্য মন্ত্রী পুন:বিবেচনা করেন আমার মনে হয় নাগরিকদের উদ্বেগটা অনেক কমে আসবে।
লোকলজ্জায় লাইনে দাঁড়িয়ে খাদ্য নিতে অনাগ্রহী নাগরীকদের জন্য হটলাইন চালু করেছিলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এতে ফোন করে যেসব নাগরিক খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন তাদের বাসায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠটানটিঅ
সাঈদ খোকন বলেন, আমরা সীমিত পরিসরে আজ থেকে সার্ভিসটি চালু করেছি।
আমরা গতকাল পর্যন্ত ৪৫০টি কল রিসিভ করেছি। আজ আরও অনেক ফোন এসেছে। আমরা সেগুলোর তালিকা করেছি। আজ থেকে আমাদের ডিস্টিবিউশন শুরু হয়ে যাবে। যেগুলো বাকি থাকবে আমারা সেগুলো আগামীকাল পৌঁছে দেব। একমাস ব্যাপী আমাদের এ কার্যক্রম চলবে।
এসময় তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ৫০ হাজার পরিবারের মাঝে একমাস নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। গতকাল আমরা ২০টি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম শুরু করেছি। এছাড়াও আমাদের শহরে যারা ভাসমান রিকশা চালক রয়েছেন তাদের মাঝেও আমরা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি।
মেয়র আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন শহরে এমন লোক রয়েছেন যারা লোকলজ্জার ভয়ে প্রকাশ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে বা কাউন্সিলর অফিস থেকে খাদ্যসামগ্রী নিতে অস্বস্তিবোধ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- তাদের তালিকা করে বাসায় বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার জন্য। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা হটলাইন চালু করেছি। যারা আমাদেরকে ফোন করছেন আমরা তাদের বাসায় আজ থেকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।