২৪ ঘণ্টায় স্পেনে ৮৬৪ জনের মৃত্যু

Slider জাতীয় টপ নিউজ

ঢাকা: মহামারী করোনাভাইরাসে ৯ হাজার ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে স্পেনে। আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ। ইতালিকে বাদ দিলে ইউরোপের যে কোনো দেশের চেয়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসে স্পেনের মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।

গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮৬৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

রোগীদের ভিড়ে স্পেনের স্বাস্থ্যব্যবস্থা অতিরিক্ত চাপে পড়ে গেছে। চিকিৎসাসামগ্রীরও অভাব দেখা দিয়েছে। বুধবার সেই অভাব পূরণে দুটি বিমানে করে সুরক্ষাসরঞ্জাম এসে পৌঁছায়।

ভাইরাসটির প্রতিরোধে দেশটিতে ইতিমধ্যে লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। থেমে গেছে অর্থনৈতিক তৎপরতাও।

একটি জরিপে দেখা গেছে, স্পেনের উৎপাদন খাতে ২০১৩ সাল থেকে ব্যাপক অগ্রগতির পর গত মার্চ থেকে তা কমে আসতে শুরু করেছে।

স্পেনের হেলথ ইমারজেন্সির প্রধান ফারনান্দো সিমন বলেন, আমরা চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছি কিনা, সেটি এখানকার মূল বিষয় নয়। মনে হচ্ছে যেন আমরা তেমন অবস্থায়ই রয়েছি।

কিন্তু সব রোগীর চিকিৎসা ও তাদের হাসপাতালে ভর্তিতে স্বাস্থ্যব্যবস্থার সক্ষমতা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বলে জানান তিনি।

মাদ্রিদের রাস্তা এখন জনশূন্য। নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বড় বড় ক্রেনগুলো অলস পড়ে আছে। স্পেনের সব তৎপরতা ও সক্রিয়তা এখন কেবল হাসপাতালমুখী।

সেখানে রোগীদের চিকিৎসায় সক্ষমতা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁবু স্থাপন করছেন আর স্যানিটাইজার স্প্রে করে সব কিছু জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, ইতালির পথেই এগোচ্ছে স্পেন। সে আশঙ্কাই যেন সত্যি হতে চলেছে। স্পেনে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রাজধানী মাদ্রিদে।

সেখানে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার ৬০৯ জন। করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ২৭ হাজার ৫০৯ জন। করোনায় আক্রান্তদের মৃতদেহ রাখার জন্য মাদ্রিদে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী মর্গ।

আক্রান্তদের হাসপাতালে নিয়ে আসা এবং মৃতদেহ সরানোর জন্য নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *