করোনার উপসর্গ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু, তিন দিনে ১৯ জন

Slider জাতীয় টপ নিউজ সারাদেশ

দেশের বিভিন্ন জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রামে দুজন জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া টাঙ্গাইলের মধুপুরে ও ঝালকাঠিতে দুজন জ্বর ও সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর আগে গত রোববার ও সোমবার করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৫ জন মারা যান। বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে –
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে জানান, সিলেটে শ্বাস কষ্ট নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে মারা গেছে এক কিশোরী। মঙ্গলবার বেলা সোয়া দুই টার দিকে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। ওই কিশোরীর বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের সহকারী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানিয়েছেন- জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে ওই কিশোরী মঙ্গলবার দুপুরে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো। ভর্তি হওয়ার ঘন্টা খানেকের মধ্যে সে মারা যায়।

তিনি বলেন- আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া ওই কিশোরী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলো না।
সে দুই মাস যাবত শ্বাস কষ্টে ভুগছে।
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে জানান, জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্ঠ নিয়ে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) এর আইসোলেশনে ইউনিটে থাকা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. আবুল হাসান।
আবুল হাসান বলেন, হাঁপানি ও ডায়বেটিসে আক্রান্ত ওই নারীকে সকালে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা উপসর্গ সন্দেহে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়। কিন্তু রাত ৯ টার দিকে হঠাৎ তার মৃত্যু ঘটে। এই রোগী আগে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে সকালে আমাদের কাছে রেফার করা হয়। সকালেই ওই নারী রোগীর নমুনা সংগ্রহ কর হয়। নিয়ম অনুযায়ি তার সব পরীক্ষা করানো হয়েছিলো। আগামীকাল সে নমুনা পরিক্ষার পর ফলাফল পাওয়া যাবে।
মধুপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের মধুপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক যুবক (৩৫) মারা গেছেন। ওই ব্যক্তি উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের মহিষমারা গ্রামের টেক্কার বাজার এলাকার জনৈক হাসান আলীর ছেলে।
মহিষমারা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোতালেব হোসেন জানান, ছেলেটি ঢাকায় থেকে কাজ করতো। কয়েক দিন আগে জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসছে। গতকাল থেকে ডায়রিয়া শুরু হয়েছিল। অতপর মঙ্গলবার দুপুরে রক্তবমি মৃত্যুর খবর শোনা গেছে।

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত টিমসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিম পাঠানো হচ্ছে।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির রাজাপুরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আবদুল হাকিম নামে এক দিনমজুরর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সাউথপুর গ্রামের নাপিতবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তার মৃত্যুর পর আতঙ্কে ওই এলাকা জনশূণ্য হয়ে পড়েছে।
স্বজনরা জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তি গত ১০ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একটি ক্লিনিকে এবং বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।

রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও আবুল খায়েল রাসেল জানান, তিনি জ্বরে মারা গেছেন। জীবিত লোকের করোনা পরীক্ষা করাই মুশকিল, তারপর তো মৃত ব্যক্তি! তিনি করোনায় মারা গেছেন কিনা তা বলতে পারবো না। তবে পরিবারের ভাষ্যমতে, করোনার লক্ষণ বলে মনে হচ্ছে না।

সূত্র দৈনিক মানবজমিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *