গাজীপুরে চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তার ও ছবি তোলে সাংবাদিক কোয়ারেন্টাইনে

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয়

গাজীপুর: গাজীপুরে এক চিকিৎসককে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয়ায় তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ওই চিকিৎসক গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। আরেক ঘটনায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অবৈধভাবে প্রবেশ করে প্রবাসিদের ছবি তোলার অপরাধে এক ফটো সাংবাদিককে আটক করে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিইনে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: খলিলুর রহমান জানান, ওই চিকিৎসক কয়েকদিন আগে দুবাই ফেরত এক প্রবাসীর চিকিৎসা দেন। এরপর থেকে তিনি জ্বর, কাশি ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত হন। শনিবার সকালে হাসপাতালে ডিউটিতে আসার পর তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা অবনতি দেখা দিতে থাকে। পরে ওই চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত মনে করে নিজেই কোয়ান্টেইনে যাওয়ার কথা বলেন। পরে তাকে হাসপাতালের একটি কেবিনে রাখা হয়। দুপুরের পর তাকে বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে করোনার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয়ায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এদিকে কাপাসিয়ার পাবুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্থাপিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অবৈধভাবে প্রবেশ করে প্রবাসিদের ছবি তোলার অপরাধে এক ফটো সাংবাদিককে আটক করে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিইনে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

গত শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন। অপর দিকে রোববার সকালে কলেজ রোড এলাকায় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার অপরাধে আলমগীর নামের এক শিক্ষককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ ইসমত আরা জানান, পাশর্^বর্তি শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর এলাকার রমজান আলী রুবেল নামের ওই ফটোসাংবাদিক পাবুর মা ও শিশু স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রে অনুমতি ও প্রোটেকশন ছাড়া প্রবেশ করে কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসিদের ছবি তুলেছিলেন এবং তাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাই রাতেই শ্রীপুর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে শ্রীপুরের জৈনাবাজার এলাকা থেকে আটক করে অ্যাম্বুলেন্সে কাপাসিয়া আনা হয়। সকলের কথা বিবেচনা করে ওই কেন্দ্রেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *