চীনে শুরু হয়েছিল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। কিন্তু অদ্ভুতভাবে সেই দেশের মৃত্যুর সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে ইতালি। প্রায় পাঁচ হাজারের কাছাকাছি মৃত্যুর সংখ্যা। রীতিমত আতঙ্কিত গোটা ইউরোপ।
শনিবার পর্যন্ত ইতালিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৪,৮২৫। একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৭৯৩ জনের। মাত্র এক মাস আগে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে সেখানে। আর তারপরই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সংখ্যাটা।
ইতালিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩,৫৭৮। সবচেয়ে খারাপ চিত্র ইতালির লমবার্ডিতে। সেখানে ৩,০৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৫,৫১৫ জন।
মনে করা হচ্ছে, সেখানে প্রথম থেকে সেভাবে সচেতনতা না নেয়াতেই পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে শুরু করেছে।
বিশ্বের মোট ১৭৭টি দেশে মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গোটা বিশ্বে ১১ হাজারের কাছাকাছি সংখ্যায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃত্যুর নিরিখে এই মুহূর্তে চীনকেও ছাপিয়ে গেছে ইতালি।
চীন থেকে গোটা বিশ্বে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে করোনাভাইরাসের আক্রমণের বলি ৩,২৪৫ জন। চীনে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বিশ্বের বাকি দেশগুলোতে রীতিমতো কাঁপুনি ধরিয়েছে মারণ এই ভাইরাস৷
যদিও মৃত্যুর সংখ্যায় বেশি হলেও ইতালির থেকে চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। চীনে এখনও পর্যন্ত ৮০,৯২৮ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে।
চীনে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৭০,৪২০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে এখনও ৭,২৬৩ জন চীনের একাধিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন৷ যদিও এই ভাইরাসের উৎসস্থল উহানে নতুন করে কোনও করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি গত তিনদিনে।