করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পরিষ্কার পানি ও অ্যালকোহল সমৃদ্ধ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র। তবে ৭টি জিনিস স্পর্শ করা মাত্রই হাত ধুতে হবে। এতে করোনা সহ যেকোনো প্রকার ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু থেকে সুরক্ষায় থাকবে আপনার দেহ।
১. টাচস্ক্রিন : মোবাইল স্ক্রিন কিংবা অফিসের বায়োমেট্রিক স্ক্যানার আমাদের নিত্যদিনের কাজের অংশ। এগুলোও জীবানু বহন করে, কারণ আমরা সেগুলো অনেকসময় অন্যের হাতে দেই।
২. রেস্টুরেন্ট মেন্যু : রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে সবাই কম-বেশি মেন্যু হাত দিয়ে ধরেন। খেয়াল করেছেন কি? এক মেন্যু অনেক মানুষই হাতে নেন। এতে লাখ লাখ ব্যাকটেরিয়া অবস্থান করে।
৩. টাকা : নোট বা কয়েন দিনে অনেকবার অদল-বদল হতে পারে। তাই এতে নানা ধরণের জীবাণু লেগে থাকে। তাই টাকা হাত দিয়ে ধরার পর অবশ্যই হাত জীবানুমুক্ত করে নিন।
৪. গাড়ি কিংবা দরজার হাতল : গণপরিবহনের হাতল, অফিস-আদালত, দোকানপাট, লিফট প্রভৃতির দরজায় হাত দেয়ার পর ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার রোধে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
৫. চিকিৎসক ও হাসপাতালের জিনিসপত্র : একজন ডাক্তারের কক্ষে নানারকম রোগীর আসা-যাওয়া থাকে। ফলে সেখানকার অধিকাংশ জিনিসেই ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু থাকতে পারে। উদাহরণ- কলম; যা দিয়ে রোগীরা স্বাক্ষর করে থাকেন।
৬. কিচেন বোর্ড এবং স্পঞ্জ : রান্নাঘর হলো বাড়ির অন্যতম জীবাণুবোঝাই স্থান। এখানে বাজারের কাঁচা খাবারের সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন খাবার, ফলমূল, শাকসবজি, মাছ-মাংস এবং রান্নাঘরের জিনিসপত্র ধোয়া ও পরিষ্কার করা হয়।
৭. এয়ারপোর্টের জিনিসপত্র : প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিমানে যাতায়াত করে। এয়ারপোর্টের জিনিসপত্রে অনেক মানুষের স্পর্শের ফলে জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনাও বেশি