মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট অবাধ ও মুক্ত নির্বাচন দেখা যায়নি, মত প্রকাশের স্বাধীনতায় সীমাবদ্ধতা

Slider জাতীয় সারাবিশ্ব


বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সারা বিশ্বের জন্য বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সরকার বা সরকারের পক্ষে বেআইনিভাবে এবং মর্জিমাফিক হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন, খেয়ালখুশি মতো অথবা অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। ২০১৯ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনাসমূহের বর্ণনা করে এতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধান সংবাদ মাধ্যমসহ মিডিয়াকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সরকার এই অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখ করার মতো সীমাবদ্ধতা রয়েছে। হয়রানি, প্রতিশোধের ভয়ে কিছু সাংবাদিক সরকারের সমালোচনাকে নিজেরাই সেন্সর করেন। সংবিধানের সমালোচনাকেও রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে গণ্য করা হয়। এখানে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তি তিন বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার প্রকাশিত দীর্ঘ ওই রিপোর্টে বলেছে, বাংলাদেশের জেলখানার অবস্থা নাজুক, জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। গোপনীয়তার বিরুদ্ধে মর্জিমাফিক অথবা বেআইনিভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের খেয়ালখুশি মতো গ্রেপ্তার করা হয়। সেন্সরশিপ করা হয়। ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয়া হয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মুক্তভাবে সমাবেশ করার অধিকারে রয়েছে উল্লেখ করার মতো হস্তক্ষেপ। এনজিও’র বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণমূলক আইন রয়েছে। এনজিও’র কর্মকাণ্ডের ওপর রয়েছে বিধিনিষেধ। স্বাধীনভাবে আন্দোলনে রয়েছে উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে রয়েছে বিধিনিষেধ, যেখানে নির্বাচনকে খাঁটি, মুক্ত ও অবাধ বলে দেখা যায়নি। রয়েছে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংস অপরাধ। রয়েছে মানবপাচার। এতে আরো বলা হয়, নির্যাতন বা নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা ব্যাপক দায়মুক্তি পান। তাদের বিরুদ্ধে নামমাত্র তদন্ত ও বিচার করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে সংবাদ মাধ্যমসহ মত প্রকাশের স্বাধীনতা অংশে বলা হয়েছে, আইনে ঘৃণাপ্রসূত বক্তব্যকে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। তবে স্পষ্টভাবে বলা হয়নি, ঘৃণাপ্রসূত বক্তব্য কোন ধরনের বক্তব্যকে বলা হবে। এর ফলে সরকার তার ব্যাপক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে গেলে, বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিরুদ্ধে গেলে এবং জনশৃঙ্খলা, শিষ্টাচার ও নৈতিকতার বিরুদ্ধে গেলে, আদালত অবমাননা হলে, মানহানি করলে সহিংসতায় উস্কানি দিলে এমন বক্তব্যকে সরকার বিধিনিষেধ দিতে পারে। সাইবার অপরাধ কমিয়ে আনতে সরকার দৃশ্যত পাস করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮। এর আওতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে দেয়ার শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ বছর পর্যন্ত জেল। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে নিষ্পেষণ ও মুক্ত মত প্রকাশকে অপরাধের আওতায় আনার কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো, সাংবাদিকরা, মিডিয়া আউটলেট ও বিরোধী দলগুলো। অক্টোবরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম দেখতে পেয়েছে যে, গত এক বছরে বাংলাদেশে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার অবনমন হয়েছে। দেশের সরকারি টেলিভিশনগুলো এবং বেসরকারি চ্যানেলগুলোকে সরকারি ‘কন্টেন্ট’ বিনা খরচে সম্প্রচারে সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলো বলেছে, লাইসেন্স দেয়া হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়েছে। ২০১৯ সালে সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক হামলা, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন করেছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনগুলো। মানবাধিকারের কর্মীরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একটি ভীতি সৃষ্টিকারী হাতিয়ার হিসেবে দেখে থাকেন। সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস কাউন্সিল অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কন্ঠরোধ বলে বর্ণনা করেছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে। এখানে বিচারের আগেই আটক এবং আটকের হুমকিতে রয়েছেন অনেকেই।

২০১৯ সালের ২১শে অক্টোবর পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিউ নেশন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির উদ্দিন আহমেদকে। ভুল করে ভোলার এসপির পরিবর্তে তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। বছর শেষ হয়ে এলেও আহমেদ ছিলেন জেলে। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের সময় খুলনায় ভোটের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করার মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করা হয় খুলনার সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন মোল্লাকে। নির্বাচনের সময় তিনি রিপোর্ট করেছিলেন যে, একটি এলাকার নির্বাচনী ফলে ভোট দেখানো হয়েছে মোট বৈধ ভোটের চেয়ে অনেক বেশি। খুলনার নির্বাচনী কর্মকর্তারা পরে ওই ভোটের সংখ্যা সংশোধন করেছেন। তারা ভোটের সংখ্যা কমিয়ে এনেছেন। কিন্তু ততক্ষণে সাংবাদিকের ওই রিপোর্ট প্রকাশ হয়ে গেছে। এরপরই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। যদিও তাকে জামিন দেয়া হয়েছে, তবু তাকে নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হয়। এই মামলাটি সক্রিয় রয়েছে। ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে সাংবাদিকরা বলেছেন, যেসব মিডিয়া সরকারের সমালোচনা করে অথবা বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড বা বিবৃতি প্রচার করে তাদেরকে শাস্তির আওতায় ফেলেছে সরকার। এপ্রিলে সরকার নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার প্রকাশনা বাতিল করে।

খেয়ালখুশি মতো গ্রেপ্তার সম্পর্কে এতে বলা হয়েছে, সরকার অথবা তার এজেন্টদের হাতে মর্জিমাফিক ও বেআইনি হত্যাকাণ্ডের অনেক খবর আছে। সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা কোনো না কোনো স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে। প্রথমত তারা এটা করেছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, মাদক ও অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে। কিছু কিছু তল্লাশির সময় সন্দেহজনক মৃত্যু হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা যথারীতি ক্রস ফায়ারে বা বন্দুকযুদ্ধে বা এনকাউন্টারে হত্যা বলে দাবি করে। পুলিশ বাহিনীর এই বর্ণনাকে ব্যবহার করে মিডিয়া। তবে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ও মিডিয়া আউটলেটগুলো দাবি করে, এসব ক্রসফায়ারের বেশির ভাগই প্রকৃতপক্ষে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। নভেম্বরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টে বলে যে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৪৬৬ জন। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা তিনগুণ বেশি। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অধিকার রিপোর্টে বলেছে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩১৫ জন মানুষ নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের ক্রসফায়ারে মারা গেছেন। কথিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গ্রেপ্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ও নাগরিক সমাজ। বন্দুকযুদ্ধে ৬ই আগস্ট যশোরে শিশির ঘোষ নামে একজন নিহত হয়। এর আগে তাকে একটি ইটভাটা থেকে আটক করা হয়। পুলিশের সন্দেহ তার কাছে অবৈধ অস্ত্র ছিল। পুলিশ বলেছে, তার বিরুদ্ধে ১৭টি অভিযোগ আছে। এর মধ্যে রয়েছে হত্যা, অস্ত্র রাখা, বিস্ফোরক রাখা ও চাঁদাবাজি। তবে তার পরিবার পুলিশের এই দাবির বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, শিশির ঘোষের বিরুদ্ধে ১০ থেকে ১২ টি অভিযোগ ছিল। ২০১৮ সালের মে মাসে টেকনাফ সিটি কাউন্সিলর একরামুল হক র‌্যাবের গুলিতে নিহত হন। এ নিয়ে তদন্তের কোনো আপডেট নেই।

জোরপূর্বক গুম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিখেছে, বাংলাদেশে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে জোরপূর্বক গুম, অপহরণ অব্যাহত আছে বলে রিপোর্ট করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো ও মিডিয়া। এসব ঘটনা থামাতে অথবা তদন্তে সীমিত প্রচেষ্টা ছিল সরকারের। নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর কোনো অভিযোগ ছাড়াই কিছু মানুষকে ছেড়ে দিয়েছে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। অন্যদের দেখিয়েছে গ্রেপ্তার, না হয় পাওয়া গেছে মৃত অবস্থায় অথবা তারা কোথায় আছেন তা কখনো জানাই যায়নি। এপ্রিলে জোরপূর্বক গুম নিয়ে প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব হিউম্যান রাইটস একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যেসব জোরপূর্বক গুম হয়েছে তা একটি প্যাটার্ন অনুসরণ করে। যারা এর শিকার হয়েছেন তাদেরকে কর্তৃপক্ষ আগেই টার্গেট করেছিল। প্রথমে আটক, পরে নিখোঁজের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন অনেকে। ইউএন ওয়ার্র্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড ডিজঅ্যাপেয়ান্সেস বাংলাদেশ সফরের অনুরোধ জানায়। কিন্তু সরকার সেই অনুরোধ রাখেনি। বলা হয়, তথ্য আদায়ের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারীরা নির্যাতন করে। তারা হুমকি দেয়, প্রহার করে, নিক্যাপিং, বৈদ্যুতিক শত দেয়। ব্যাপক নির্যাতন ও আইন প্রয়োগকারীদের অশোভন আচরণের অভিযোগে আগস্টে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউএন কমিটি এগেইনস্ট টর্চার। জুনে মানবাধকার বিষয়ক গ্রুপ অধিকার বলে, নরসিংদির ডিটেকটিভ শাখা অর্থ চেয়েছিল বলে দাবি করেন তাহমিনা বেগম। তিনি বলেন, তার ছেলেকে আটকের পর তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য এই অর্থ চাওয়া হয়। তিনি তার ছেলেকে মুক্ত করে দেয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এর পরই তার ছেলে সোহেল মিয়াকে বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়। তার পরও তাকে হুমকি দেয়া হয় যে, তার ছেলেকে ক্রসফায়ারে দেয়া হবে। এ অবস্থায় তিনি পুলিশকে এক লাখ টাকা দেন। পরে তার ছেলেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ছাত্র আন্দোলনের সময় ‘উস্কানিমূলক বিবৃতি’ দেয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয় ফটোসাংবাদিক শহিদুল আলমকে। অভিযোগ করা হয়েছে, তাকে জেলখানায় নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি হাইকোর্টে আবেদন করার পর ২০১৮ সালের নভেম্বরে জামিন পান। এখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মুলতবি আছে। ১৮ই আগস্ট তার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রাখে আপিল বিভাগ।

বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বলেছে, সারা বছরে তাদের হাজার হাজার সদস্যকে খেয়ালখুশি মতো গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব নেতাকর্মী রাজনৈতিক র‌্যালিতে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অথবা তারা আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তাদেরকে যেমন ভীতি দেখানো হয়েছে, তেমনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়া থেকে নেতাকর্মী ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরত রাখা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৫ বছরের জেল দেয় আদালত। কিন্তু ২০১৮ সালের অক্টোবরে তার শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাইকোর্ট। এসব অভিযোগের তথ্য প্রমাণে ঘাটতি থাকা নিয়ে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরের আইন বিষয়ে অভিজ্ঞরা। তারা বলেছেন, সরকারের এসব কর্মকাণ্ড হলো নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বিরোধী দলীয় নেত্রীকে সরিয়ে দেয়া। তার পক্ষে জামিন আবেদনের ক্ষেত্রে ধীর গতি অবলম্বন করেছে আদালত। অতি সম্প্রতি গত ডিসেম্বরে তার জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, যদিও তার স্বাস্থ্যগত অবস্থার অবনতি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *