ট্রাম্প ও জনসনও কি করোনার ঝুঁকিতে?

Slider জাতীয় সারাবিশ্ব

ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর পর বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সংক্রমিত হবার ঝুঁকি নিয়ে বেশ কিছু খবর সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। এর মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মতো নেতাদের নামও।

ব্রিটেনে একজন জুনিয়র স্বাস্থ্য মন্ত্রী করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হবার পর দেশটির ক্ষমতার উচ্চ মহলে কতদূর পর্যন্ত সংক্রমণ পৌঁছে গেছে, তা বের করতে উঠেপড়ে লেগেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

আক্রান্ত জুনিয়র স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম নাদিন ডরিস। গত বৃহস্পতিবার তার করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ ধরা পড়ে। স্বাস্থ্য কর্মীদের যা ভাবিয়ে তুলেছে তা হলো সেদিনই ডরিস ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দেয়া এক সংবর্ধনায় যোগ দিয়েছিলেন।

এখন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জরুরিভাবে এটা বের করার চেষ্টা করছেন যে নাদিন ডরিসের সাথে সম্প্রতি কার কার যোগাযোগ হয়েছিল। মিজ ডরিস নিজে অবশ্য জানিয়েছেন যে তিনি এখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতেই অবস্থান করছেন।

মঙ্গলবার বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস সংক্রমিত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর পাঁচজন রিপাব্লিকান কংগ্রেস সদস্য নিজেদেরকে কোয়ারেন্টিন করেছেন।

বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসের ওই অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন। ট্রাম্প নিজেই জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি এর পর করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন পরীক্ষা করাননি, এবং তার স্বাস্থ্য ভালো আছে।

হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করোনাভাইরাস সংক্রমণে হয়েছে কিনা এমন কোন পরীক্ষা করা হয় নি।

জানা গেছে, মেরিল্যান্ডের ওই রাজনৈতিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে একজন করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তি ছিলেন, যার সাথে পাঁচজন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এবং ট্রাম্পের নতুন চিফ অব স্টাফের সাক্ষাৎ হয়। এরা সবাই এখন নিজে থেকেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে আছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন। তিনি অবশ্য সেই সংক্রমিত লোকটির সাথে কথাবার্তা বলেন নি। কিন্তু ওই সম্মেলনের চেয়ারম্যানের সাথে সেই ব্যক্তির যোগাযোগ হয়েছিল এবং পরে চেয়ারম্যানের সাথে করমর্দন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

‘প্রেসিডেন্টের সাথে কোভিড নাইনটিন আক্রান্ত কোনো রোগীর দীর্ঘস্থায়ী যোগাযোগ হয়নি এবং তার দেহে সংক্রমণের কোনো লক্ষণও নেই। তার স্বাস্থ্য খুব ভালো আছে এবং ডাক্তার তার ওপর নজর রাখছেন’ বলেন হোয়াইট হাউস মুখপাত্র।

ইরানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ডেপুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সরকারের বেশ কয়েকজনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে।

নিউইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী ইরানের একজন ভাইস প্রেসিডেন্টও করোনাভাইরাসে সংক্রমতি হয়েছেন। ইরানের একজন সাবেক ডেপুটি মন্ত্রী করোনাভাইরাস সংক্রমণে মারা গেছেন বলেও সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। সূত্র : বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *