করোনা ভাইরাস: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বার্তা দিল অধিদপ্তর

Slider জাতীয় শিক্ষা


ঢাকা: করোনা ভাইরাসে প্রায় স্থবির হয়ে আছে বিশ্ব। সেই আঁচ এসে লেগেছে বাংলাদেশে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে শনাক্ত করা হয়েছে ৩ জন। দেশে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত অভিভাবকরা। এরই প্রেক্ষিতে আতঙ্ক দূর করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নির্দেশনা জারি করেছে।

‘করোনা ভাইরাস: সচেতন হোন, নিরাপদ থাকুন’ শিরোনামে আদেশটি জারি করা হয়। এতে বলা হয়, মাউশি’র অধীন সকল অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সকলকে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেষ্ট থাকার নির্দেশ দেয়া হলো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রেরিত আদেশে বলা হয়, অনেক প্রজাতির করোনা ভাইরাসের মধ্যে ৭টি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।

তার একটি ২০১৯-এন করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাস কোন প্রাণী থেকে মানুষের দেহে ঢুকেছে। এখন মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হচ্ছে। ভাইরাসটি মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে (হাঁচি বা কাশি বা কফ বা থুথু) অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়। এই ভাইরাসে লক্ষণসমূহ হচ্ছে, ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় ২ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণ জ্বর। এছাড়াও শুকনা কাশি বা গলা ব্যথা হতে পারে। শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে।

অন্যান্য অসুস্থতা (ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ বা শ্বাসকষ্ট বা হৃদরোগ বা কিডনি সমস্যা বা ক্যান্সার ইত্যাদি) থাকলে অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে। প্রতিকার হিসেবে বলা হয়, যেহেতু ভাইরাসটি নতুন, তাই এর কোন টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো নেই। চিকিৎসা লক্ষণ ভিত্তিক। মাউশি’র মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এই আদেশে প্রতিরোধে করণীয়তা সম্পর্কে বলা হয়, ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে (অন্তত ২০ সেকেন্ড)। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না। ইতোমধ্যে আক্রান্ত এমন ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে (হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে)। অসুস্থ পশু বা পাখির সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। মাছ-মাংস ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে। অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, বাইরে যাওয়া অত্যাবশ্যক হলে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন। প্রবাসী আত্মীয়-স্বজনকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া যে কোনো জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। অত্যাবশ্যকীয় ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

এই আদেশে সন্দেহভাজন রোগীর ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে বলা হয়, প্রবাসী আত্মীয়কে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা। অসুস্থ রোগীকে ঘরে থাকতে বলুন। মারাত্মক অসুস্থ রোগীকে নিকটস্থ সদর হাসপাতালে যেতে বলুন। রোগীকে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন। রোগীর নাম, বয়স, যোগাযোগের জন্য পূর্ণ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করুন। ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে আইইডিসিআর’র করোনা কন্ট্রোল রুম (০১৭০০-৭০৫৭৩৭) অথবা হটলাইন ০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪ ও ০১৯২৭৭১১৭৮৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *