ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
সোমবার সকালে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮০৬ জনের। এর মধ্যে শুধু চীনেই মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১১৯ জনের। বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৪৫ জনে। এ ছাড়া আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠেছেন ৬২ হাজার ১৭৬ জন।
চীনের পর করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালিতে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩৬৬ জন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যে রোববার একদিনেই দেশটিতে মৃত্যু হয় ১৩৩ জনের।
ইতালির পর তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ১৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্য দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সে ১৯ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ১১ জন, স্পেনে ৮ জন, জাপানে ৬ জন, ইরাকে ৪ জন, যুক্তরাজ্যে ৩ জন, নেদারল্যান্ডসে ৩ জন, হংকংয়ে ৩ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ৩ জন, সুইজারল্যান্ডে ২ জন, থাইল্যান্ডে ১ জন, মিসরে ১ জন, তাইওয়ানে ১ জন, সান ম্যারিনোতে ১ জন, আর্জেন্টিনায় ১ জন, ফিলিপাইনে ১ জন, এবং বিলাসবহুল প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সে থাকা ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর দ্রুতই গোটা চীনে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস, সঙ্গে বাড়তে থাকে প্রাণহানিও। সাম্প্রতিক সময়ে চীনে প্রাণহানি ও নতুন করে আক্রান্তের যে তথ্য মিলছে তা ইতিবাচক হলেও অন্যদেশগুলোতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া অব্যাহত রয়েছে। চীনের পর এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি পাণহানি ইতালিতে হলেও আক্রান্ত বেশি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
তবে ইতালিতে প্রাণহানি বাড়তে থাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির লমবার্ডিসহ আরো ১৪টি প্রদেশে অন্তত এক কোটি ৬০ লাখ মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেউ কোয়ারেন্টাইন থেকে বেরিয়ে আসলে তাকে তিন মাস জেলে কাটাতে হবে।