কফিনের কাছে আকুতি—-বেয়াদবী করেছি. ক্ষমা চাই!

Slider জাতীয় বিচিত্র সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী


ঢাকা: ১৯৮৩ সালে আপনি সহ আপনারা কয়েকজন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গাজীপুরের সাংবাদিকদের জন্য একটি সংগঠনের। সংগঠন প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম গাজী আব্দুস সাত্তার। সাহসী ও নিঁখুত কলমযুদ্ধা এই সাংবাদিকের শিষ্যত্ব গ্রহন করেননি, এমন সাংবাদিকের সংখ্যা গাজীপুরে নেই বললেই চলে। সেই ৮০ এর দশকের পর থেকে সময়ের প্রয়োজনে সাংবাদিকদের সংখ্যা বেড়েছে। সাংবাদিক ও সংগঠনের পরিধি বাড়লেও আমাদের মান ও আত্মমর্যাদার পরিধি বাড়েনি, যেমনভাবে আমরা প্রসারিত হয়েছি। আমাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে কিন্তু মনের অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাই আমরা আপনাকে কৃতজ্ঞতার সাথে সম্মান করতে পারিনি। আমরা আপনাকে তিরস্কারও করেছি, আপনার ছেলেকে বহিস্কারও করেছি। যেখানে আপনাকে মাথা নত করে সম্মান করার কথা, সেখানে আপনার সাথে বেয়াদবীও করেছি। তাই আপনার কাছে ক্ষমা চাই। আপনি দয়া করে ক্ষমা করবেন।

সবশেষ, ২০১৭ সালে সাংবাদিকদের একটি বার্ষিক বনভোজনে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজী আব্দুস সাত্তার। রাজেন্দ্রপুর এলাকার একটি নীরব প্রকৃতির কোলে সাজানো প্যান্ডেলে প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, আমি খুব দ্রতুই সাংবাদিকদের সংগঠিত করে একটি মৌলিক সাংবাদিকতায় জায়গায় নিয়ে আসব। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠেনি। সৃষ্টিকর্তা তাকে নিয়ে গেছেন আপন ঠিকানায়।

মনে আছে, ওই বনভোজনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধমে যেসকল সংবাদ হয়েছিল, সেসব সংবাদের পর অনেক সাংবাদিক সমালোচনা করেছেন। তীর্যক মন্তব্য করেছেন। তবে আজ খুশি হয়েছি এই কারণে যে,, মৃত্যুর পর যারা আপনাকে সম্মান করেছে তাদের মধ্যে অনেকেই আপনার জীবদ্দশায় হয়ত সম্মান করতে পারেননি। আর যারা সম্মান করতে পারেননি বা করেননি, তাদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাই আপনার কাছে। আপনার নেতৃত্বে সাংবাদিকদের সংগঠন গড়ে উঠেছিল বলেই আজ আমরা গর্ব করে নিজেদের পরিচয় দিতে পারছি। আপনাকে আপনার প্রাপ্য সম্মান দিতে পারি, বা নাই পারি , আপনার মৃত্যুর পর একটু হলেও পেরেছি। আপনার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ যেন আপনাকে বেহেশতবাসী করেন। আমিন।

সূত্র: একটি ফেইসবুক আইডি থেকে নেয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *