শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা

শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করাকে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা সম্মিলিতভাবে নিশ্চিত করতে বুধবার সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, ‘সময়ের সাথে যুগের চাহিদাকে ধারণ করে বর্তমানে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বড় একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করা। কারণ গুণগত শিক্ষা ছাড়া শিক্ষা মূল্যহীন।’

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা যাতে কোনোভাবেই সার্টিফিকেট সর্বস্ব না হয় তা সম্মিলিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে।’

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং তা প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

একবিংশ শতাব্দীকে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ হিসেবে বর্ণনা করে আবদুল হামিদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই।

‘আমি মনে করি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব উপলদ্ধি করে পাঠ্য কারিকুলাম যুগোপযোগী করে সাজাবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলবে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে,’ যোগ করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে শিক্ষার্থীরা অর্জিত জ্ঞান ও মেধা ব্যবহার করে লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে সরকারের ভিশন ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

তিনি শিক্ষার্থীদের পলিথিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকার এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির তাগিদ দেন।

আবদুল হামিদ শিক্ষকদের উন্নত জাতি তৈরির মহান কারিগর হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনাদের হতে হবে সদা সত্যান্বেষী, জ্ঞানালোকে সমৃদ্ধ হয়ে দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে নৈতিকভাবে বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী। দেশের কল্যাণে আপনারা হবেন আলোর দিশারি, জ্ঞানের ফেরিওয়ালা। শিক্ষার্থীরা আপনাদের আদর্শ অনুসরণ করবে, যার প্রভাব পড়বে তার কর্মজীবনে। শিক্ষক যখন তার মহান আদর্শ থেকে দূরে সরে নানা প্রাপ্তির পেছনে ছুটেন, শিক্ষার্থীরা তখন নাবিকহীন নৌকার মতো দিকহারা হয়ে যায়। পথের সঠিক দিশা পায় না। তাই আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আপনারা জ্ঞান অর্জন ও বিতরণে নিবেদিত থাকবেন জাতি তা প্রত্যাশা করে।’

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ সমাবর্তনের উদ্বোধন করেন। এতে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৯৬৮ জন স্নাতক, ৯৫১ জন স্নাতকোত্তর ও নয়জন পিএইচডি ডিগ্রি নেন। সেই সাথে ৬৩ শিক্ষার্থী স্বর্ণপদক পেয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী। সূত্র : ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *