নির্বাচনের কী দরকার?

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা

ডেস্ক: ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে দৃশ্যত হতাশা ব্যক্ত করেছেন ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীন।

জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির অনলাইন সংস্করণে গতকাল এক মন্তব্য প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচন হয়েছে৷ ভোটারদের আগ্রহ নেই, অনিয়মের শেষ নেই, কারো কারো ক্ষেত্রে নিজের ভোট নিজে দেওয়ার উপায় নেই, তবুও ভোট৷
আর কিছুক্ষণ পরেই দুইজন নতুন মেয়র৷ হারু পার্টির কিছু উতোর চাপান৷ তারপর আবার নতুন ইস্যু৷ আর কিছু না থাকলে করোনা ভাইরাস তো থাকলোই! একজন সিনিয়র সাংবাদিক আমার কাছে জানতে চাইলেন, ভোট নিতে যদি এতসব খুচরা অনিয়মই করা হবে তবে এত টাকা খরচ করে নির্বাচনের দরকার কী? সামাজিক ও গণমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি ভোট দেওয়ার সময় সরকারি দলের লোক পাশে পাশে থেকেছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভোটটিও দিয়ে দিচ্ছেন৷ দেখছি ভোটকেন্দ্র খালি, দেখছি স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আঙুলের ছাপ মিলছে না৷ আমার মনেও প্রশ্ন উঠছে, তবে নির্বাচন কোন দরকার?

গতকাল একজন সহকর্মী ঠাট্টা করছিলেন, মানে ঠাট্টা তার অরিজিনাল নয়৷ কে একজন ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন যে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিনয় দেখে তিনি মুগ্ধ৷ এই যে এত কষ্ট করে ভোট চাইছেন, চা বানিয়ে দিচ্ছেন৷ ঢাকাবাসী একটা নির্ভেজাল ছুটি কাটাচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে৷ ভোট কেন্দ্রগুলো ফাঁকা ফাঁকা৷ একজন আসছেন তো ২০ জন ঘরে বসে টিভি দেখছেন৷ নির্বাচন কমিশনের একজন দায়িত্বশীল বলেছেন, ইয়াং জেনারেশন দেরিতে ঘুম থেকে উঠে বলে ভোটকেন্দ্রে মানুষ নাই! কী অসাধারণ বিশ্লেষণ৷ সমাজ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা তাকে চিনে রাখবেন, আশা রাখি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *