করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে ১৬ দেশে, মৃতের সংখ্যা ১৭০

Slider জাতীয় সারাবিশ্ব

ডেস্ক: চীন সহ বিশ্বের কমপক্ষে ১৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এতে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ এক আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারই প্রেক্ষিতে চীনে অবস্থানরত নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের উদ্ধার শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ। বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক ইমাজেন্সি ঘোষণা করা হবে কিনা তা নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সর্বশেষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশের ঘরের কাছে তিব্বতে একজন। মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। আগের দিন মৃতের সংখ্যা ছিল ১৩২। আজ সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০। চীনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা বলছেন, ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭১১।

এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

জার্মানি, ভিয়েতনাম ও জাপানের দিকে ইঙ্গিত করে বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানোম ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন, গত দু’চারদিনে এই ভাইরাসের বিস্তার, বিশেষ করে কিছু দেশে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়েছে। এ বিষয়টি আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। যদিও চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা চীনের তুলনায় খুবই সামান্য। তবু তা থেকেও বড় রকমের প্রাদুর্ভাব সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এই ভাইরাসের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিকার বা টিকা আবিস্কার হয় নি। তাই যারা এতে সংক্রমিত হচ্ছেন তাদের মধ্যে লক্ষণগুলো আস্তে আস্তে দেখা দিচ্ছে। এ থেকে শ্বাসযন্ত্রের ভয়াবহ সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ থেকে মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে মানুষের।

এর আগে এমন মহামারি দেখা দিয়েছিল সার্স ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে। সে সময়ও এসব ভাইরাস বেশি আক্রান্ত করেছিল বয়স্ক মানুষদের। করোনাভাইরাসও একইভাবে বয়স্ক মানুষকে আক্রান্ত করার ঝুঁকি বেশি। এ ছাড়া আগে থেকে অসুস্থ এমন ব্যক্তিরাও এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে চীনের হুবেই প্রদেশ ও এর রাজধানী উহান থেকে। এই উহান থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি। কার্যত এই শহরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস যাতে আর ছড়াতে না পারে সে জন্য পরিবহনে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চীন। হুবেই প্রদেশের যেসব লোকজন চাকরি করেন কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বাসায় বসে কাজ করে দিতে বলছে। যতক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে কর্মস্থলে যেতে বারণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *