সরজমিন সাফারি পার্ক -৬: ঝুকিপূর্ণ কাঠের সেতুতে উঠতে হয় লাফ দিয়ে !

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি

রাতুল মন্ডল সাফারি পার্ক থেকে ফিরে: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেতর রয়েছে কাঠের সেতু। আর এই সেতু উপর উঠতে হয় লাফ দিয়ে। শিশু আর বৃদ্ধরা ইচ্ছে করলেও সহজে সংযোগ সেতুতে উঠতে পারে না।

যা দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তারপরও থেমে নেই দর্শনার্থীর আগমন। দলবদ্ধভাবে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলের সময় যেকোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

জানাযায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক শুরুর পর থেকে মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য বনের ভেতর দিয়ে রয়েছে কাঠের সেতু। তবে সময়ের ব্যবধানে তা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। কতৃপক্ষের অবহেলার কারণে এই সংযোগ সেতুটি অনেক ঝুকিপূর্ণ।

তারপরেও থেমে থাকে না দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দর্শনার্থীরা। তারা ঝুঁকি নিয়ে দলবদ্ধভাবে চলাচল করে এই সেতু দিয়ে। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা ধরনের ছোট বড় দুর্ঘটনা। শিশুরা পড়ে করছে কান্নাকাটি আর প্রাপ্তবয়স্করা পড়ে লজ্জায় তাড়াতাড়ি স্থান ছাড়ছে। আর কারোও কারোও পা কাঠের ফাঁকে বেধে যায়।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভিতর বনের সেতুতে দেখা মেলে অনেক মানুষের চলাচল।দর্শনার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান দিয়ে পার হতে দেরি হচ্ছে।

আর অনেকেই পড়ে যাওয়ার ভয়ে পেছনের পথে ফিরে যাচ্ছে। আর অনেক দর্শনার্থী পড়েও যাচ্ছে।
খুলনা থেকে পিতামাতার সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক দেখতে আসা মনির হোসেন বলেন, এমন ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে চলতে ভয় করছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় এক সাথে অনেক দর্শনার্থী সেতু পার হলে মনে হয় এখনি ভেঙে নিচে পড়বে। খাদিজা খাতুন বলেন,সাফারি পার্কের জন্য সরকারিভাবে সংস্কারের জন্য অনেক বরাদ্দ থাকে। কিন্তু কিছুই ঠিক করে না। নিচে পড়লে বড় ধরনের ক্ষতি হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বনের ভেতর কাঠের সেতুটি খুব দ্রুত সংস্কার করে দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য উপযোগী করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *