হিন্দু মহাজোট পুরো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে তারিখের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এখনো অনড় অবস্থানে আছে, সে অধিকার তাদের আছে। আমরা কোনো সিদ্ধান্ত তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারি না। তবে ভোটের তারিখ পরিবর্তন হলেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এটি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার।
শনিবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা ছুঁতো খুঁজছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, তারা একটা ছুঁতো খুঁজছে, কীভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। আর নির্বাচনে হারলেই ইভিএম খারাপ এবং জিতলে ইভিএম ভালো বিএনপির এ ধরনের অবস্থানও সঠিক নয়।
আওয়ামী লীগ সধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সব সময় দিবাস্বপ্ন দেখে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি বলেছিল, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তারা বলেছিল, বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফলাফল কী হয়েছে তা জাতি দেখেছে। এবারও দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে তারা বলছে, তাদের প্রার্থীদের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির স্বপ্ন দু:স্বপ্নে পরিণত হবে। কারণ ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। সরকার দলীয় প্রার্থী ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দিলে সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন হবে না বলে নগরবাসী জানে।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটি আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতো বড় একটি দলে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকতেই পারে। তবে সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের ওপর দলের শৃঙ্খলা কমিটি চাপ প্রয়োগ করছে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য।
দুই সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা ক্লিন ইমেজের দুজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছি। জনগণ স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীকে পছন্দ করে। আগামী নির্বাচনে দুই সিটিতে মেয়র হিসেবে আমাদের প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন বলে আমি আশা করি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।