মাঠ দখল করে মেলার ঘটনায় প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত। কার পিন্ডি কার গাঢ়ে!

Slider গ্রাম বাংলা বিচিত্র

রাতুল মন্ডল শ্রীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা জে এম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকে বরখাস্তের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজেদের ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্টে করছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ।

শ্রীপুর গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র মো. আনোয়ার হোসেন উনার টাইমলাইনে লিখেছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত এ দেশের সচেতন জনগনের জন্য দুঃসংবাদ।

সাংবাদিক মোতাহার খান লিখেছেন প্রধান শিক্ষকের কি পাওয়ার আছে? অনুমতি দেয়ার আর না দেয়া, নির্দোষ শিক্ষকের পেটে লাথি।

সাংবাদিক মোহাম্মদ সিদ্দিক লিখেছেন ন্যায় বিচার হোক এটা আমরা সবাই চাই, কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ বিচার কে সমাজের সকল মানুষ ঘৃণা করে।

মো. মেহেদী হাসান লিটন লিখেছেন, খায় দায় চান মিয়া মোটা হয় জব্বর মিয়া।

সাংবাদিক জামাল উদ্দিন লিখেছেন, মেলা বন্ধের প্রথম প্রতিবাদী মানুষটির ব্যপারে অন্যায় করা হয়েছে।

জানাযায় হস্ত ও কুটির শিল্প ফাউন্ডেশনে আবেদনের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাওনা জেএম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ শর্ত সাপেক্ষ ১ মাসের জন্য অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

আর মেলা আয়োজক কমিটি ইতিমধ্যে দখলেও নিয়ে নিয়েছেন স্কুল দুটির খেলার মাঠ। যার কারণে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশ বই উৎসবে মেতে উঠতে পারেনি ২৫ শত শিক্ষার্থী।

মাওনা জেএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহমেদ জান্নাত ইকরা জানায়, খেলার মাঠ দখল হওয়ার কারণে আমরা বই উৎসবে মেতে উঠতে পারিনি শ্রেণি কক্ষে আমাদের বই দিয়েছেন।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রিন্স জানায়, আমাদের খেলার মাঠ দখল হওয়ার কারণে আমরা নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারছিনা।

মাওনা জে এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম জানান, বিদ্যালয় মাঠ দখল হয়ে যাওয়ার কারণে আমার বিদ্যালয়ের পাঠদান নিয়মিত সমস্যা হচ্ছে। আর দখল হয়ে যাওয়ার কারণে বই উৎসবও করতে পারিনি আমরা। তাই বাধ্য হয়ে শ্রেণিকক্ষে বই বিতরণ করেছি। আর মেলা আয়োজনের ব্যাপারে উপর থেকে আমাদের কোন ধরনের কোনো অনুমতি পত্র বা কোনো কাগজপত্র দেখায়নি মেলা আয়োজক কমিটি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *