ঈদের পর গণআন্দোলন

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ ঢাকা রাজনীতি সারাদেশ সারাবিশ্ব

_Khaleda-Zia
গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বেগম বিএনপির চেয়ারপারসনখালেদা জিয়া ঈদের পরে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন । এ জন্য তিনি নেতা-কর্মীদের তৈরি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের বিএনপি-সমর্থিত নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে খালেদা জিয়া এ ঘোষণা দেন। তবে খালেদা জিয়া ঈদুল ফিতর নাকি ঈদুল আজহার পর আন্দোলনে যাবেন, সেটি পরিষ্কার করেননি।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘সময় আসবে। তৈরি হন। সবাই বলছে আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলন। ঈদের পর আন্দোলনের কর্মসূচি দেব।’

খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে র্যাব ও আওয়ামী লীগের ‘গুন্ডা বাহিনীর’ কারণে অনেক জায়গায় বিএনপি কর্মসূচি করতে পারেনি। আগামীতে যখন মানুষ রাস্তায় নামবে, তখন তারা অস্ত্র চালাতে পারবে না। মানুষ দেখে স্তব্ধ হয়ে যাবে।

এর আগে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর একাধিক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, উপজেলা নির্বাচনের পর দল গুছিয়ে আন্দোলন শুরু করবেন। উপজেলা নির্বাচনের পর এই প্রথম খালেদা জিয়া আবার বললেন, ঈদের পর তাঁরা আন্দোলন শুরু করবেন।

খালেদা জিয়া নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারাই জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। এ সরকার অবৈধ।’ তিনি জনপ্রতিনিধিদের জনগণের বিপদে-আপদে সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে থাকা এবং বেশির ভাগ সময় নিজ এলাকায় থাকার নির্দেশ দেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, যাঁরা সরকারি দলের বাইরে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ করে রাখা হবে না।

বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, প্রশাসনের যেখানে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, সেখানে তাঁরা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে অবৈধ সরকারের পক্ষে অন্যায় কাজ করছে। তিনি বলেন, সবাই এই সরকারের বিদায় চাইছে। কিন্তু লোভের কারণে বর্তমান সরকার ক্ষমতা ছাড়তে চাইছে না।

সরকারের উদ্দেশে খালেদা বলেন, ‘ইতিহাসের দিকে তাকান। কোনো স্বৈরশাসক, গণবিরোধী সরকার টিকে থাকতে পারেনি। তাঁদের বিদায় নিতে হয়েছে। করুণ পরিণতি হয়েছে।’ তিনি অবিলম্বে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।

খালেদা আরও বলেন, এখনকার সাংসদেরা ভোটে আসেননি। তাই তাঁদের কোনো দায়িত্ব নেই। উন্নয়নও নেই। সব টাকা ক্ষমতাসীনদের পকেটে যায়।

খালেদা অভিযোগ করেন, লুটপাটের কারণে সিলেটের স্টেডিয়াম ভেঙে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘এমন চুরি করেছে, সিমেন্ট বালি দেওয়া হয়নি বলেই স্টেডিয়াম ভেঙে পড়েছে।’ টাকার বিনিময়ে গুম-খুন থেকে শুরু করে প্রশ্ন ফাঁস পর্যন্ত হচ্ছে। এ সময় কেউ র্যাব পরিচয় দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধরতে গেলে তাঁদের ঘেরাও করে রাখার নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *