গাজীপুর: গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ ভোর থেকেই যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী কর্মজীবী মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। যানজট নিরসনে পুলিশের কোনো পদক্ষেপই কাজে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ যাত্রীরাদের। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজটের কারণে ঢাকা-বাইপাস ও ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কেরও যানজট লেগে থাকে।
সকালে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সড়কের উভয় দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ যানজট আরও তীব্র হতে থাকে। চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গীগামী যাত্রী বেলায়েত হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বাসে ওঠেছেন টঙ্গীতে অফিসে যাবেন বলে। সাড়ে ৭টায় এক ঘণ্টায় তিনি মাত্র দুই কিলোমিটার পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। বাকি পথ থেকে কত সময় লাগবে তা অনিশ্চিত।
এদিকে টঙ্গী ব্রিজের পর থেকে, স্টেশন রোড, চেরাগআলী, গাজীপুরা, বোর্ড বাজার, ছয়দানা, বাসন সড়ক, ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানজট লেগেই রয়েছে।
বাস চালকরা বলছেন, ভোর থেকেই যানজট শুরু হয়েছে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। ফলে অনেকে বাসে না ওঠে হেঁটে রওনা হচ্ছেন। ফলে বাসে যাত্রী সংকটও দেখা দিচ্ছে। রাস্তায় খানাখন্দ, বৃষ্টি এবং যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকালে মহাসড়কে পুলিশের সংখ্যা কম, সে কারণে যানজট বেশি।
এদিকে বিমানবন্দর সড়কেও তীব্র যানজট। ভোর থেকে এ সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ। সকালে এটিএম রিদওয়ানুল নামে এক যাত্রী জানান, তিনি নিকুঞ্জ থেকে পায়ে হেঁটে উত্তরার জমিস উদ্দিন পর্যন্ত যান। এরপর রিকসায় করে আবদুল্লাহপুর পৌঁছান।
এ ব্যাপারে টঙ্গী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, সকাল থেকেই মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে থাকায় সড়কে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া হঠাৎ করে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ কাজ করছে।