‘জনগণের দৃষ্টিভঙ্গির মূল্যায়ন করতে হবে’—– বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী

Slider জাতীয় টপ নিউজ বাধ ভাঙ্গা মত

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর আজ ছিল শেষ কর্মদিবস। কাল থেকে অবসর যাবেন তিনি। এ উপলক্ষে তাকে বিদায়ী সম্ভাবষণ দেয়া হয়। এতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর ১৫ বছরের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী তার বক্তৃতায় বলেন, বিচার বিভাগ নিয়ে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জনগণের এই দৃষ্টিভঙ্গির মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের অন্য দু’টি অঙ্গের উর্ধ্বে নয়। তবে অন্য দুটি অঙ্গের কাজ সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা, তা দেখা বা পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব বিচার বিভাগের।
তিনি আরো বলেন, একজন বিচারক তার প্রজ্ঞা ও নিরপেক্ষতার বলিষ্ঠ ভূমিকার মাধ্যমে আইনজীবীদের শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারেন।

অ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম তার বক্তৃতায় বলেন, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী সুদীর্ঘ সময় কৃতিত্বের সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান বিচারপতি। তিনি ধৈর্য ধরে মামলা শুনতেন এবং সব সময় চেষ্ঠা করতেন ন্যায় সম্মত বিচার করতে। আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি মাননীয় বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী’কে বিদায় সম্ভাষণ জানাবার জন্য। এই মহামান্য আদালতের বিচারপতির বেঞ্চে আর তাকে আমরা পাবো না । আজ এ বিদায় বেলায় আপনার সুস্বাস্থ্য ও সুখী জীবন কামনা করি।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি সিলেট জেলার কোতোয়ালি থানার বিলপার (লামাবাজার)। ১৯৫৩ সালের ৯ই জানুয়ারী উপজেলার লামাবাজার গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম। তার পিতার নাম মরহুম আবদুল ফাত্তাহ চৌধুরী ও মাতার নাম মরহুম রৌনক আরা বেগম। তিনি ১৯৬৮ সালে এসএসসি, ১৯৭০ সালে এইচ এস সি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ (অনার্স, এম.এ (ইংরেজী) ও এল এল বি ডিগ্রি লাভ করেন।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৮২ সনের ১৭ মার্চ সহকারী জজ হিসেবে বিসিএস (জুডিশিয়াল) ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করেন। এরপর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব (প্রশাসন -১) হিসেবে ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালের ১লা মার্চ জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০০৪ সালের ২৩শে আগস্ট হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০০৬ সালের ২৩শে আগস্ট স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *