ঢাকা সিটি নির্বাচন আওয়ামী লীগ থেকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পেলেন যারা

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি রাজনীতি


দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম আতিকের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে দল। রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একইসাথে দলের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

এ সময় দুই সিটিতে প্রার্থী নির্ধারণে কী কী বিষয় বিবেচনায় নিয়েছে আওয়ামী লীগ জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘যারা জিতে আসতে পারবেন তারাই মনোনয়ন পেয়েছেন। জনপ্রিয় প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জনগণের কাছে প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তাকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।’

এর আগে শনিবার রাতে গণভবনে বৈঠকে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দুই সিটিতে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করে দলটি।

মনোনয়ন পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচিত হলে একটি সুন্দর নগরী উপহার দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমাকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই ঢাকা-১০ আসনের মানুষের প্রতি যারা আমাকে আগলে রেখেছেন। আমি ঢাকা দক্ষিণের মানুষের সহযোগিতা চাই। তারা আমাকে সমর্থন দিয়ে আমার প্রতি আস্থা রেখে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে একটি সুন্দর নগরী উপহার দেবো।

তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার সব ঐতিহ্য রক্ষা করে একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করবো। উন্নত রাজধানী গড়ার জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করবো। আগামী ৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ রাজধানী উপহার দেবো। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র মরহুম আনিসুল হক আমার কাজের অনুপ্রেরণা হবেন। আমি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর সহযোগিতা চাই।

মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিশেষ করে মেয়র সাঈদ খোকন আপনার পক্ষে কাজ করবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, আমি সবার সহযোগিতা চাই। আমি মনে করি কেউ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবে না। সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম আতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের প্রতি কতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমরা নির্বাচিত হলে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলবো। নির্বাচিত হওয়ার পর মেয়র হিসেবে গত ৯ মাসে আমি অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। আমরা জানি চ্যালেঞ্জগুলো কি। উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মিলে একটি সুন্দর ঢাকা উপহার দেবো।

কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পেলেন যারা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আক্তার উদ্দিন, ২ নম্বরে আলহাজ্ব কদম আলী মাতব্বর, ৩ নম্বরে মোহাম্মদ জিন্নাদ আলী মাতব্বর, ৪ নম্বরে জামাল মোস্তফা, ৫ নম্বরে আব্দুর রব নান্নু, ৬ নম্বরে সালাহউদ্দিন রবিন, ৭ নম্বরে তোফাজ্জল হোসেন, ৮ নম্বরে আবুল কাসেম, ৯ নম্বরে মুজিব সারোয়ার মাসুদ, ১০ নম্বরে আবু তাহের, ১১ নম্বরে দেওয়ান আবুল মান্নান, ১২ নম্বরে মুরাদ হোসেন, ১৩ নম্বরে হারুনুর রশিদ, ১৪ নম্বরে মফিজ উদ্দিন, ১৫ নম্বরে সালেক মান্নান, ১৬ নম্বরে মতিউর রহমান, ১৭ নম্বরে ইসহাক মিয়া, ১৮ নম্বরে জাকির হোসেন, ১৯ নম্বরে মফিজুর রহমান, ২০ নম্বরে জাহিদুর রহমান, ২১ নম্বরে মাসুম গনি, ২২ নম্বরে লিয়াকত আলী, ২৩ নম্বরে সাখাওয়াত হোসেন, ২৪ নম্বরে শফিউল্লাহ, ২৫ নম্বরে আবদুল্লাহ আল মঞ্জু, ২৬ নম্বরে শামিম হোসেন, ২৭ নম্বরে ফরিদুর রহমান খান, ২৮ নম্বরে তুষার হোসেন, ২৯ নুরুল ইসলাম রতন, ৩০ নম্বরে আবুল হাসেম হাসু, ৩১ নম্বরে আলেয়া সারোয়ার ডেইজি, ৩২ নম্বরে সৈয়দ হাসান মাস্টার, ৩৩ নম্বরে আসিফ আল মামুন, ৩৪ নম্বরে শেখ মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী, ৩৫ নম্বরে মমতাজ সরদার, ৩৬ নম্বরে তরুণ রেজা খোকন, ৩৭ নম্বরে জাহাঙ্গীর আলম, ৩৮ নম্বরে শেখ সেলিম, ৩৯ নম্বরে শরিফ শফিকুল ইসলাম, ৪০ নম্বরে নজরুল ইসলাম ঢালি, ৪১ নম্বরে আবদুল মতিন, ৪২ নম্বরে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ৪৩ নম্বরে শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, ৪৪ নম্বরে মোহাম্মদ শফিকুল শফি, ৪৫ নম্বরে জয়নাল আবেদিন, ৪৬ নম্বরে সাইদুর রহমান সরকার, ৪৭ নম্বরে মোতালেব মিয়া, ৪৮ নম্বরে ইমতিয়াজ মাসুদুজ্জামান, ৪৯ শফিউদ্দিন মোল্লা, ৫০ নম্বরে বি এম শামিম, ৫১ নম্বরে শফিকুর রহমান, ৫২ নম্বরে ফরিদ আহমেদ, ৫৩ নম্বরে মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও ৫৪ নম্বরে জাহাঙ্গীর হোসেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১ নম্বরে মাহবুবুল আলম, ২ নম্বরে আনিসুর রহমান, ৩ নম্বরে মাকসুদ হোসেন, ৪ নম্বরে জাহাঙ্গীর হোসেন, ৫ নম্বরে আশরাফুজ্জামান তাজ, ৬ নম্বরে সিরাজুল ইসলাম বাপ্পি, ৭ নম্বরে আব্দুল বাসিত খান, ৮ নম্বরে ইসমাইল, ৯ নম্বরে মোজাম্মেল হক, ১০ নম্বরে মারুফ আহমেদ মনসুর, ১১ নম্বরে হামিদুল হক সাথি, ১২ নম্বরে মামুনুর রশিদ শুভ্র, ১৩ নম্বরে এনামুল হক, ১৪ নম্বরে ইলিয়াসুর রহমান, ১৫ নম্বরে রফিকুল ইসলাম বাবলা, ১৬ নম্বরে নজরুল ইসলাম, ১৭ নম্বরে মাহবুবুর রহমান, ১৮ নম্বরে ফেরদৌস আলম, ১৯ নম্বরে আবুল বাশার, ২০ নম্বরে শরিফ উদ্দিন রতন, ২১ নম্বরে আসাদুজ্জামান, ২২ নম্বরে জিন্নাত আলী, ২৩ নম্বরে মকবুল হোসেন, ২৪ নম্বরে মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ, ২৫ নম্বরে আনোয়ার ইকবাল, ২৬ নম্বরে হাসিবুর রহমান মানিক, ২৭ নম্বরে ওমর বিন আব্দুল আজিজ, ২৮ নম্বরে মোহাম্মদ সালেহী, ২৯ নম্বরে জাহাঙ্গীর আলম বাবুল, ৩০ নম্বরে মোহাম্মদ হাসান, ৩১ নম্বরে শেখ মোহাম্মদ আলমগীর, ৩২ নম্বরে আব্দুল মান্নান, ৩৩ নম্বরে ইলিয়াস রশিদ, ৩৪ নম্বরে মীর সমির, ৩৫ নম্বরে আবু সাইদ, ৩৬ নম্বরে রঞ্জন বিশ্বাস, ৩৭ নম্বরে আব্দুর রহমান নিয়াজী, ৩৮ নম্বরে আহম্মেদ ইমতিয়াজ মান্নাফি, ৩৯ নম্বরে রোকন উদ্দিন আহম্মেদ, ৪০ নম্বরে আবুল কালাম আজাদ, ৪১ নম্বরে সারোয়ার হাসান আলো, ৪২ নম্বরে মোহাম্মদ সেলিম, ৪৩ নম্বরে আলিফ হোসেন, ৪৪ নম্বরে নিজাম উদ্দিন, ৪৫ নম্বরে হেলেনা আক্তার, ৪৬ নম্বরে শহিদুল্লাহ, ৪৭ নম্বরে নাসির আহমেদ ভূঁইয়া, ৪৮ নম্বরে মোহাম্মদ আবুল কালাম, ৪৯ নম্বরে আবুল কালাম আজাদ, ৫০ নম্বরে মাসুম মোল্লা, ৫১ নম্বরে কাজী আরিফুর রহমান, ৫২ নম্বরে মোহাম্মদ নাসিম মিয়া, ৫৩ নম্বরে নূর হোসেন, ৫৪ নম্বরে মোহাম্মদ মাসুদ, ৫৫ নম্বরে নূরে আলম, ৫৬ নম্বরে মোহাম্মদ হোসেন, ৫৭ নম্বরে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ৫৮ নম্বরে শফিকুর রহমান, ৫৯ নম্বরে আকাশ কুমার ভৌমিক, ৬০ নম্বরে লুতফুর রহমান রতন, ৬১ নম্বরে শাহে আলম, ৬২ নম্বরে মুস্তাক আহমেদ, ৬৩ নম্বরে শফিউল ইসলাম খান, ৬৪ নম্বরে মাসুদূর রহমান মোল্লা, ৬৫ নম্বরে শামসুদ্দিন ভূঁইয়া, ৬৬ নম্বরে আরিফ তালুকদার, ৬৭ নম্বরে ফিরোজ আলম, ৬৮ নম্বরে মাহমুদুল হাসান, ৬৯ নম্বরে হাবিবুর রহমান হাসু, ৭০ নম্বরে আতিকুর রহমান, ৭১ নম্বরে খায়েরুজ্জামান, ৭২ নম্বরে শফিউল ইসলাম শামিম, ৭৩ নম্বরে শফিকুল ইসলাম, ৭৪ নম্বরে মোহাম্মদ ফজর আলী এবং ৭৫ নম্বরে সৈয়দ মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *