বড়দিন ঘিরে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

Slider জাতীয় সারাদেশ


ঢাকা: খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটকে পুঁজি করে এইদিনে কোনো অশুভ গোষ্ঠী যাতে নাশকতা করতে না পারে সেদিকে তীক্ষ্ণ নজরদারি শুরু করেছে গোয়েন্দারা। খ্রীস্টানদের চার্চ ও সরকারি কেপিআইভুক্ত এলাকাগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে চার্চগুলোতে তিনস্থরের নিরাপত্তার ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বড়দিন উপলক্ষে ইনডোরের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যেই শেষ করতে হবে। এবারের বড়দিনের অনুষ্ঠান ইনডোরের বাইরে করতে দেয়া হবে না। খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিনকে ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে কোন সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তার হুমকি নেই। তবে পুলিশ কোন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছে না।

নাশকতাকারীরা যাতে কোন অরাজকতা করতে না পারে সেদিক বিবেচনা করেই বড়দিনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাসেম মানবজমিনকে জানান, বড়দিনে চার্চগুলোতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ওই উৎসবকে ঘিরে কোন সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই।

র‌্যাব ও পুলিশের গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, উগ্রবাদ দমনে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী সফলতা দেখিয়েছে। বর্তমানে তা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে। গত বছর শুভ বড়দিনে শ্রীলংঙ্কার গির্জা ও হোটেলে বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই হামলার পর থেকেই বড়দিন উপলক্ষে আশপাশের দেশগুলোত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।

সূত্র জানায়, বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তার ছক আঁকা হয়েছে। তিনদিন আগে থেকেই ঢাকা ও সারাদেশের খ্রিস্টানদের চার্চগুলোতে অবস্থান নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অনুষ্ঠানের শুরুর সকাল বেলায় র‌্যাব ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করবে। চার্চগুলোতে দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে দিয়ে ঢুকতে দেয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে। চার্চের প্রাচীর টপকে কেউ যাতে ঢুকতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হবে। চার্চকে ঘিরে কয়েক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও ভেতরে ও বাইরে সাদা পোশোকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নজরদারি গড়ে তুলবেন। চার্চের সামনের সড়ক গুলোতে র‌্যাবের ভ্রামমাণ মোটরসাইকেলগুলো টহল দিবে।

সূত্র জানায়, চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেয়া হবে না। কোনো ধরনের ব্যাগ, ট্রলিব্যাগ ও ব্যাকপ্যাক নিয়ে চার্চে আসা যাবে না। ইনডোরের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে শেষ করতে হবে। এছাড়াও এবার কাউকে বড়দিন উপলক্ষে ইনডোরের বাইরে অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না। যদি কেউ করতে চায় তাহলে পুলিশের পূর্বানুমতি লাগবে। তবে সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, এবার ইনডোরের বাইরে কোন অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না। এছাড়াও বড়দিন উপলক্ষে উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে গান-বাজনা করা ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। কোন আপত্তিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য চার্চগুলোতে আগে থেকেই নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। যাতে তরিৎ ব্যবস্থা নেয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *