দেশ-মাতৃকার সেবায় নৌবাহিনীর অবদান অনুসরণীয়: প্রধানমন্ত্রী

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা


জাতির পিতার স্বপ্ন ছিলো এই বাংলাকে সত্যিকার সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশকে জাতির পিতার সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব। চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শীতকালীন কুচকাওয়াজ পরিদর্শন অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ভূমিকা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাহিনী অপারেশন জ্যাকপট অভিযান পরিচালনা করে। দেশ-মাতৃকার সেবায় এই বাহিনীর অবদান অনুসরণীয়।

নৌবাহিনীকে আধুনিক করতে বঙ্গবন্ধুর অবদান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টায় দুটো পেট্রোল ক্রাফট নিয়ে নৌবাহিনীর যাত্রা শুরু হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু নৌ ঘাটিগুলোকে কমিশন প্রদান করেন। এছাড়া বন্দর এলাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী যেসব মাইন পুতে রেখেছিলো সেগুলো অপসারণ করে এগুলো ব্যবহার উপযোগী করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা আমাদের বিশাল সম্পদের উৎস। ১৯৯৬ সালে আমরা সমদ্রসীমা অর্জনের পদক্ষেপ নিই। ২০০৯ সালে আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করতে সক্ষম হই।

নৌবাহিনীর উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী বাহিনী তৈরি করতে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।
২০০৯ সালে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে আমরা ফোর্সেল গোল-২০৩০ হাতে নিই। এরই ধারাবাহিকতায় নৌবাহিনীতে ২৭টি যুদ্ধজাহাজ সংযুক্ত করেছি। নৌবাহিনীর অ্যাভিয়েশন উইং সৃষ্টি করেছি। ২০০৯ সালে অত্যাধুনিক সাবমেরিন যুক্ত করি। যার ফলে এই বাহিনী উত্তরোত্তর এগিয়ে যাচ্ছে।

নৌবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, আজ ৭২ জন কর্মকর্তা একাডেমিক সীমানা অতিক্রম করে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। আজকে তারা প্রশিক্ষণের পর কাজে যোগ দেবেন। সবসময় মনে রাখতে হবে সততা, নিষ্ঠা একাগ্রতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের মানসম্মান আপনারা রক্ষা করবেন।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সন্তানরা আজ কমিশন পেয়েছেন। তারা আজ দেশে দেশের সেবায় নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে বলে আশা করি। আপনাদের সন্তানদের এই সাফল্যের অংশীদার আপনারাও। যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদেরকেও আমরা ধন্যবাদ জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *