রাজাকারের তালিকায় থাকা কিছু নাম বাদ দিতে নোট দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু সে অনুযায়ী তালিকা হয়নি। আজ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কৃষকলীগের এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় রাজাকারের লিস্ট করবে। আমাদের কাছে দাবি করে তারা চিঠি পাঠিয়েছিলেন, আমাদের কাছে যে সমস্ত তথ্য আছে সেগুলো যেনো পাঠানো হয়। রাজাকারের লিস্ট তৈরি করা দূরুহ ব্যাপার। আমরা প্রাথমিকভাবে দালাল আইনে যাদের নামে মামলা হয়েছিলো, সেই দালাল আইনের লিস্টটা আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। সেই লিস্টে আমরা মন্তব্য করে দিয়েছি, অনেকের নামের মামলা উইথড্র করা হয়েছিলো।
সেটা তালিকায় যাথাযথভাবে আসেনি। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের রাজাকারের তালিকা নিয়ে আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত ছিলো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নিয়েছেন। বাইরের দেশ থেকে আমাদের দেশে মাদক প্রবেশ করছে। আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর জায়গায় যাচ্ছি। আজকে মাদকের বিরুদ্ধে কৃষকলীগ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার যে শপথ নিয়েছে আমরা তাকে সাধুবাদ জানাই।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, শুদ্ধি অভিযান চলছে। অনেকেই মনে করেন আমরা থেমে গেছি। আমরা আসলে থেমে নেই। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এই অভিযান চলমান রাখবো। আমরা তথ্যভিত্তিক অভিযান চালাবো।
অনুষ্ঠানে কৃষকলীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যথাসময়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেন। চলমান দুর্নীতি, মাদক ও মজুদদারের বিরুদ্ধে অভিযানে নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে কৃষকলীগ আজ শপথ নিয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছি।
সভায় কৃষকলীগ নেতাদের দুর্নীতি, মাদক ও মজুদের বিরুদ্ধে শপথ বাক্য পাঠ করান আলোচনা সভার বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, আসাদুজ্জামান বিপ্লবসহ অনেকেই।