নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে থাকা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে জ্ঞানপাপী আখ্যায়িত করে তার মুখোশ উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। রবিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে ঢাকা জেলা বাস-মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারে (ডিটিসি) এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান ইলিয়াস কাঞ্চনকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি যে বিদেশিদের কাছ থেকে নিরাপদ সড়ক চাই এনজিওর নামে কোটি কোটি টাকা নিয়ে আসছেন। আপনি কয়টি প্রতিষ্ঠান করেছেন, কয়েকটি স্কুল করেছেন, কয়জন মানুষকে ট্রেনিং দিয়েছেন- আমি তার তথ্য বের করতেছি।
তিনি আরো বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন কোথা থেকে কত টাকা পান, কী উদ্দেশে পান, সেখান থেকে কত টাকা নিজে নেন, পুত্রের নামে নেন, পুত্রবধূর নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নেন সেই হিসেব আমি জনসম্মুখে তুলে ধরব।
১৯৯৩ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে সক্রিয় রয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এরপর তিনি নিরাপদ সড়ক চাই নামের একটি সংগঠন গড়ে তোলেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা তলে হাত দিয়ে দেখতে পারি, আপনার ওজনটা কোথায়। এ সময় সড়কে শৃঙ্খলা না থাকার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএর দিকে অভিযোগ তোলেন শাহজাহান খান।
তিনি বলেন, একটু তলে হাত দিয়ে দেখেন সমস্যটা কোথায়, সমস্যা ড্রাইভার না, সমস্যা আমাদের শ্রমিক না, মূল সমস্যা বিআরটিএ। যতক্ষণ পর্যন্ত বিআরটিএর সক্ষমতা না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত সড়কে পূর্ণাঙ্গ শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না।
মাদারীপুরের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, সড়ক নিরাপদ করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তবে তা হতে হবে বাস্তবমুখী।
নতুন সড়ক পরিবহন আইনের পরিবর্তনের দাবি তুলে তিনি আরো বলেন, বর্তমান আইনের পরিবর্তন প্রয়োজন রয়েছে। যা চালকদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে হতে হবে। একটি পক্ষ একতরফাভাবে চালকদের শাস্তির দাবি করে আসছে। কিন্তু অন্য যারা জড়িত ওই বিভাগকে আড়াল করে চলেছে।
তার মতে, সড়ক নিরাপদ করতে হলে সড়কের আধুনিকায়ন ও সংস্কার, প্রকৌশল ত্রুটি রোধ, পথচারী, যাত্রী পুলিশসহ সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান নূর নবী সিমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি তানভীর হায়দার চৌধূরী, বিআরটিএর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামরুল আহসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।