বাদলের শূন্য আসন নিয়ে মহাজোটে টানাপড়েন

Slider চট্টগ্রাম জাতীয় সারাদেশ


চট্টগ্রাম: জাসদ নেতা মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনে ১৩ই জানুয়ারি উপনির্বাচন। আর এ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জোর তৎপরতা। বিশেষ করে এ আসনে নিজ দলের প্রার্থী পেতে মরিয়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আবার মহাজোট থেকেও প্রার্থী চান শরিক দলগুলো। জাসদ নেতা মইন উদ্দীন খান বাদলও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সে হিসেবে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে জোরালো মত শরিক দলের নেতাদের। এর মধ্যে দাবিটা দিন দিন জোরালো হচ্ছে প্রয়াত মইন উদ্দীন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান বাদলের প্রার্থিতার প্রতি। আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সুসস্পর্ক থাকার কারণে আওয়ামী লীগ থেকেও তার প্রার্থিতার প্রতি সমর্থন রয়েছে নেতাকর্মীদের।

জাসদ থেকে মনোনয়ন ফরম না নিয়ে তিনি নৌকা প্রতীক পেতে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন ইতিমধ্যে। যা চমক সৃষ্টি করেছে পুরো চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে। সে হিসেবে নৌকা প্রতীকে তিনিই মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বেশি।
এ প্রসঙ্গে সেলিনা খান বাদল বলেন, হলে আওয়ামী লীগ থেকেই প্রার্থী হবো। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যাই করতে বলেন তাই করবো।

এ ছাড়া মহাজোটের শরিক দল হিসেবে এ আসন থেকে প্রার্থী হতে চান জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব রাউজানের সন্তান- শিল্পপতি জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুও। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বিগত সময়ের মতো এবারও শরিক দলকে আসনটি ছেড়ে দেবে আওয়ামী লীগ। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী এ পর্যন্ত আমাকে যেমনটি করতে বলেছেন আমি তাই করেছি। আশা করছি, মহাজোটের তরফ থেকে এ আসনে আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবেন।

একইভাবে মহাজোটের শরিক দলকে আসনটি ছেড়ে দেবেন এ বিশ্বাসে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জাসদের সহ-সভাপতি এডভোকেট আবুল হাশেম, বিএনএফ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আযাদসহ আরো কয়েকজন নেতা। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দাবি মহাজোটের কাউকে প্রার্থী না দিয়ে দলের নেতাদের নির্বাচনে প্রার্থী করার।

ফলে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার আলোচনায় রয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দীন আহমদ, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামও। তারাও ইতিমধ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

এ ছাড়া প্রার্থী হওয়ার আশায় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেকমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, তার বড় ছেলে মুজিবুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সমপাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সমপাদক নোমান আল মাহমুদ, ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন, দিলোয়ারা ইউসুফ, নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর প্রকৌশলী বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য প্রবাসী মোহাম্মদ এমরান, পারভেজ হাসান মান্নান, এটিএম রিয়াজ খান ও আশেক রসুল খান।

দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির কার্যালয় থেকে এ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন ১৮ জন। এর মধ্যে শরীকদল ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাও রয়েছেন। যারা বাদলের শূন্য আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চান। ফলে এদের নিয়ে দোটানায় পড়েছে আওয়ামী লীগ।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সমপাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দিনে ১৪ জন, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে ৯ই ডিসেম্বর মনোনয়ন বোর্ডের মিটিংয়ে নির্ধারণ করা হবে এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কে পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *